নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি: এখনও থমথমে রাজাহোলি। নতুন করে ঝামেলা না হলেও গোটা এলাকায় চাপা টেনশন রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে মোতায়েন রয়েছে পুলিস। পিটিয়ে বৃদ্ধকে খুন করার তিনদিন পর সোমবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট এলাকার এমন ছবি ধরা পড়েছে। তবে, খুনের ঘটনায় ৯ জন অভিযুক্ত এখনও অধরা। তাদের কেউ বিহারে, আবার কেউ জলপাইগুড়িতে গা ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। এতে পুলিসের ভূমিকা নিয়ে বিস্তর প্রশ্ন উঠেছে।
শিলিগুড়ির ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) রাকেশ সিং বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি আপাতত স্বাভাবিক। আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ওই এলাকা নজরে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
শিলিগুড়ি শহরের ৩৫ নম্বর ওয়ার্ডের বস্তিগুলির মধ্যে রাজাহোলি একটি। রেলের জমি ও খাস জমিতে ওই বস্তি গড়ে উঠেছে। প্রতিটি বাড়ি গায়ে গায়ে লাগানো। বস্তিটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি। এদিন দুপুরে এলাকার রাস্তা ছিল কার্যত শুনসান। এলাকার চা ও পানের দোকানেও তেমন জটলা ছিল না। রাস্তায় কিছু মহিলার দেখা মিললেও তাঁদের অধিকাংশই কথা বলতে চাননি। কয়েকজন অবশ্য পুলিসের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তোলা দিতে না চাওয়ায় ওই বৃদ্ধকে পিটিয়ে খুনের ঘটনা মানা যায় না। পুলিসের উদাসীনতার জেরেই অভিযুক্তরা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এর থেকেই স্পষ্ট ওই খুনের ঘটনা নিয়ে এলাকাবাসীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ রয়েছে। এই অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা ঠিক রাখতে এলাকায় মোতায়েন রয়েছে পুলিস। এদিন দুপুরে পুলিসকর্মীরা একাধিবার এলাকার রাস্তায় টহল দিয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃদ্ধ খুনের ঘটনায় ৯ অভিযুক্তের কেউ বিহারে, কেউ জলপাইগুড়ির ফুলবাড়িতে গা ঢাকা দিয়েছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজাহোলিতে খুন হন বৃদ্ধ মহম্মদ জোহুরি।
অন্যদিকে, খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের পরিবারের সদস্যরা তোলা আদায়ের অভিযোগ মানতে নারাজ। অভিযুক্তদের একটি পরিবারের সদস্যরা ওই ঘটনা নিয়ে পাল্টা মারধরের অভিযোগ পুলিসের কাছে জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, তাস খেলার আসরে হাজির হয়ে পুরনো বিবাদের জেরে গোলমাল পাকান ওই বৃদ্ধ ও তাঁর এক সঙ্গী। এতে দু’পক্ষের মধ্যে মারপিট বাধে। তাতে ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। এনজেপি থানার পুলিস জানিয়েছে, দু’পক্ষের অভিযোগ নিয়ে নির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তে কিছু তথ্য পাওয়া গিয়েছে। সেগুলি গুরুত্ব দিয়ে যাচাই করা হচ্ছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।