নিজস্ব প্রতিনিধি, জলপাইগুড়ি: মামার বাড়িতে এসে একদিনের জ্বরে মৃত্যু হল পাঁচ বছরের এক শিশুর। মৃতার নাম অনামিকা পাল। বাড়ি উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের সোনাডাঙি এলাকায়। মায়ের সঙ্গে সে ও তার তিন বছরের বোন বানারহাটে মামার বাড়িতে এসেছিল। সেখানেই জ্বরে আক্রান্ত হয় অনামিকা। পরিবারের দাবি, প্রথমে ফার্মেসি থেকে বলে ওষুধ কিনে এনে খাওয়ানো হয়। কিন্তু তাতেও জ্বর না কমায় রবিবার তাকে ভর্তি করা হয় নাথুয়ার কাছে ধুমপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। সেখানেই তার মৃত্যু হয়। সোমবার ওই শিশুর দেহের ময়নাতদন্ত হয় জলপাইগুড়ি মেডিক্যালের মর্গে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ওই শিশুর মা এবং বোনও জ্বরে আক্রান্ত। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছে তারা।
এদিন মেডিক্যালে মেয়ের দেহ নিতে এসেছিলেন মৃতার বাবা সুকুমার পাল। গ্যাংটকে গ্রিল কারখানায় কাজ করেন তিনি। বলেন, শ্বশুরমশাই অসুস্থ বলে খবর আসে। সেকারণে তাঁকে দেখতে শুক্রবার দুই মেয়েকে নিয়ে স্ত্রী বানারহাটে যায়। আমি ওদের শিলিগুড়ি পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে গ্যাংটকে কাজে চলে যাই। শনিবার ফোনে খবর পাই, বড় মেয়ের জ্বর এসেছে। ডাক্তার দেখাতে বলি। কিন্তু পরদিনই যে মেয়ের মৃত্যুর খবর পাব ভাবতে পারিনি।
মৃত ওই শিশুর মা রিমি পাল বলেন, মেয়ের গায়ে জ্বর দেখে এলাকারই একটি দোকান থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে এসে খাওয়ানো হয়েছিল। তাতে না কমায় ধুমপাড়া স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হল না। একদিনের জ্বর মেয়েকে যে আমার কাছ থেকে কেড়ে নেবে স্বপ্নেও ভাবতে পারিনি।