• পুরাতন মালদহে মহিলার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, মৃত্যুর কারণ ঘিরে বাড়ছে রহস্য
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহের মুচিয়ায় এক মহিলার অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। সোমবার সকালে বাড়ি থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যালে পাঠিয়েছে পুলিস।

    বাড়িতে ওই মহিলার সঙ্গে ছেলে,বউমা এবং তাঁদের সন্তান থাকতেন। বাসিন্দাদের অভিযোগ, সম্পত্তি নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে ছেলে, বউমার মন কষাকষি চলছিল। ওই মহিলা কিছুটা সম্পত্তি ছেলেকে দিয়ে বাকিটা নিজের নামে রেখেছিলেন। সেসব নেওয়ার জন্য মহিলাকে তাঁর ছেলে এবং বউমা দীর্ঘদিন ধরে মানসিক অত্যাচার করছেন। ছেলের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা এসে তাদের সঙ্গে যোগ দিতেন। শরীর খারাপ হলেও মায়ের চিকিৎসা করতেন না ছেলে। এই বিবাদের জেরেই ওই মহিলার মৃত্যু হয়েছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য,অনেকদিন ধরে ওই পরিবারে ঝামেলা চলছে। ওই মহিলা মুখ বুজে সব সহ্য করে গিয়েছেন। 

    গ্রামের মহিলাদের একাংশ বিচারের দাবিতে এদিন থানায় ছুটে গিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে এক গৃহবধূ বলেন, মৃত্যুর আগে ওই মহিলা আমাদের কাছে এসেছিলেন। ছেলে এবং বউমা মারধর করেছে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। ছেলে ঠিকমতো চিকিত্সা করায়নি। আমরা বলেছিলাম, কালীপুজো মিটে গেলে গ্রামের সবাই মিলে বসে পাশে দাঁড়াব। থানায় বিচারের জন্য গিয়েছিলাম। পুলিস বলেছে, রক্তের সম্পর্ক রয়েছে এমন কেউ এখনও অভিযোগ করেনি। সেজন্য আমরা গ্রামে ফিরে এসেছি। 

    যদিও অভিযুক্ত এবং তাঁর স্ত্রী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ছেলে  বলেন, মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছিল না। রাতে ঘুম হতো না। এদিন সকালে দেখি মা ঝুলে আছে। গায়ে হাত দেওয়া তো দূরের কথা, ছেলে হিসাবে আমি মায়ের সব দায়িত্ব পালন করেছি। সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিবাদ ছিল না। পাড়ার লোকেরা আমাদের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন। কেন এরকম হল আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। মায়ের শরীরের বিভিন্ন সমস্যার জন্য আমি চিকিৎসককে দেখিয়েছি। কোনও অবহেলা করিনি। 

    ওই মহিলার পুত্রবধূও এক সুরে বলেন, স্থানীয়রা মিথ্যা অভিযোগ করছেন। আমি এবং আমার স্বামী শাশুড়ির সব দায়িত্ব পালন করেছি।  মালদহ থানার পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগ জমা হয়নি। দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট দেখে তদন্ত করা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)