• নিশীথের আপ্ত সহায়কের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি, টাকা আত্মসাতের আরও ৫টি অভিযোগ দায়ের ময়নাগুড়িতে
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, ময়নাগুড়ি: প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের আপ্ত সহায়কের ভুয়ো পরিচয় দিয়ে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার আরও পাঁচটি অভিযোগ সোমবার ময়নাগুড়ি থানায় দায়ের হল। রবিবার ময়নাগুড়ির বাসিন্দা বিশ্বনাথ শীল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হিসেবে পরিচয় দেওয়া পরিমল রায়ের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সোমবার যাঁরা ময়নাগুড়ি থানায় অভিযোগ করেছেন তাঁদের প্রত্যেকেরই দাবি, অভিযুক্ত পরিমল রায় নিজেকে নিশীথ প্রামাণিকের আপ্ত সহায়কের পরিচয় দিয়ে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলেই টাকা নিয়েছিলেন। 

    এদিকে অভিযুক্ত পরিমলের সঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি রয়েছে নিশীথ প্রামাণিকের। রবিবার বিশ্বনাথ শীল বলেন, নিশীথবাবুর সঙ্গে একই  ঘরে আমি পরিমলকে দেখেছি। আমি প্রাক্তন মন্ত্রীকে আমার এক আত্মীয়ের চাকরির কথা বলেছিলাম। পরবর্তীতে পরিমল নিজেকে প্রাক্তন মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন। তাই বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছিলাম।

    এনিয়ে নিশীথকে ফোনে পরিমল রায়কে নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, কারও সঙ্গে ছবি থাকতেই পারে। আমার সঙ্গে ছবি তুলে কেউ চিটিং করলে আমার কী করার আছে। প্রশাসন প্রশাসনের মতো ব্যবস্থা নেবে। আমরা তো পাবলিক ফিগার, সে কারণে অনেকেই আমাদের সঙ্গে ছবি তোলেন। কার কী উদ্দেশ্য থাকে, তা কি বোঝা সম্ভব? খবরে দেখলাম ওই ব্যক্তি অনেকের সঙ্গে এমন কাজ করেছেন।

    সোমবার উছলপুকুরির বাসিন্দা হিতেন্দ্রনাথ বর্মন, জনার্দন বর্মন, জামালদহের সম্পদ রায়, দেবব্রত রায় ও মেখলিগঞ্জের কমলচন্দ্র রায় ময়নাগুড়ি থানায় পরিমলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রত্যেকেই নিজের বা আত্মীয়ের চাকরির জন্য পরিমলকে লক্ষাধিক টাকা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু চাকরি হয়নি। পরিমল টাকাও ফেরত দিচ্ছে না। 

    তৃণমূল কংগ্রেসের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, বিভিন্ন এলাকায় কান পাতলে এমন অভিযোগ পাওয়া যাবে। মানুষজন এখন থানায় অভিযোগ করছে। পুলিস সঠিক তদন্ত করে উপযুক্ত পদক্ষেপ নিক। বিজেপির কোচবিহারের জেলা সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, পরিমল রায় নামে কোনও আপ্ত সহায়ক নিশীথ প্রামাণিকের ছিলেন না। অভিযুক্তকে  পুলিস গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সমস্ত তথ্য উঠে আসবে। যদি কেউ অন্যায়ভাবে টাকা তুলে থাকে, তাহলে তাঁর শাস্তি হওয়া দরকার। ময়নাগুড়ি থানার আইসি সুবল ঘোষ বলেন, পরিমলের বিরুদ্ধে আরও পাঁচ জন চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তর খোঁজে তল্লাশি চলছে।
  • Link to this news (বর্তমান)