বড় রাজ্যগুলি এবার মূলধনী খরচ গতবারের মতো বাড়াতে পারবে না, দাবি ক্রিসিলের
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দেশের বড় অর্থনীতির রাজ্যগুলির মূলধনী খাতে খরচের হার এবার ৭ থেকে ৯ শতাংশ হারে বাড়তে পারে। তবে সেই বৃদ্ধির হার গত অর্থবর্ষ, অর্থাৎ ২০২৩-২৪ সালের তুলনায় অনেকটাই কম। এমনটাই দাবি করেছে দেশের অন্যতম ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ক্রিসিল। ১৮টি রাজ্যের আর্থিক অবস্থার বিশ্লেষণ করে এই তথ্য সামনে এনেছে তারা। দেশের সার্বিক মূলধনী খরচের ৯৪ শতাংশ দখলে রাখে এই রাজ্যগুলি। সেই তালিকায় পশ্চিমবঙ্গও আছে। মূলধনী খাতে খরচের বড় অংশই পরিকাঠামো খাতে ব্যয় করা হয়। এর আগে অবশ্য আরও এক ক্রেডিট রেটিং সংস্থা ইক্রা দাবি করেছিল, রাজ্যগুলি তাদের চলতি বছরের বাজেটে যে পরিমাণ মূলধনী ব্যয়ের কথা বলেছে, বাস্তবে তারা করতে পারবে না।
ক্রিসিল তাদের রিপোর্টে জানাচ্ছে, চলতি আর্থিক বছর শেষে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির মূলধনী খরচ ৭ লক্ষ ২০ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি হতে পারে। তা যদি হয়, তাহলে বৃদ্ধির হার ৭ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে থাকবে। গত অর্থবর্ষে সেই হার ২৭ শতাংশ ছিল। এবার যেটুকু খরচ বৃদ্ধি হবে, তা মূলত পরিবহণ ক্ষেত্র, পানীয় জলের জোগান, আবাসন ও নগরোন্নয়ন ভিত্তিক। সেচ সংক্রান্ত খরচ এবার কিছুটা ধাক্কা খবে বলেই জানিয়েছে ক্রিসিল। পাশাপাশি তাদের দাবি, ঋণ নেওয়ার প্রবণতাও রাজ্যগুলির বেড়েছে দ্বিতীয় ত্রৈমাসিক, অর্থাৎ জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে। গত অর্থবর্ষের ওই একই সময়ের তুলনায় তা ২৬ শতাংশ বেশি।
এরপরও কেন গত বছরের মতো মূলধনী খরচ বাড়বে না? এক্ষেত্রেও ঋণের হিসেব এনেছে ক্রিসিল। তারা জানিয়েছে, রাজ্যগুলি গত এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত যে ঋণ নিয়েছে, তা গতবারের তুলনায় ১৫ শতাংশ কম। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচন থাকায়, তা প্রথম ত্রৈমাসিকে পরিকাঠামো খাতে খরচের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তার জের আগস্ট পর্যন্ত চলেছে। আগের বছরের সঙ্গে তুলনা করলে, এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত পাঁচমাসে মূলধনী খরচ কমে গিয়েছে ৭ শতাংশ। বছরের বাকি সাতমাসে যেটুকু বৃদ্ধি হবে, তা গতবারের সাফল্য ছুঁতে পারবে না, এমনটাই মনে করছে ক্রেডিট রেটিং সংস্থাটি।