নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাকপুর: বড়মা’র বিসর্জনকে ঘিরে সোমবার সকাল থেকেই মানুষের ঢল নামে নৈহাটিতে। ভিড় সামলাতে বেলা ১২টার পর বি সি রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করতে হয়। দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয় অরবিন্দ রোডেও। মায়ের গয়না খুলে ফুল দিয়ে রাজবেশে সাজানো হয়। পুজো কমিটির সাধারণ সম্পাদক তাপস ভট্টাচার্য মাকে বরণ করার পর নিরঞ্জনের প্রস্তুতি শুরু হয়। ততক্ষণে অরবিন্দ রোড, ফেরি ঘাট এবং ওই রাস্তা সংলগ্ন বাড়ির ছাদে জড়ো হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
পুজো কমিটির সভাপতি তথা নৈহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চট্টোপাধ্যায় দড়িতে টান দিতেই শুরু হয় বড়মাকে নিয়ে শোভাযাত্রা। ভক্তদের ‘জয় বড়মা’ গর্জনে ফেটে পড়ে নৈহাটির আকাশ-বাতাস। দর্শনার্থীরা বাতাসা, ফুল ছুড়তে থাকেন। শোভাযাত্রায় তখন কাতারে কাতারে মানুষ। ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয় পুলিসকে। রাস্তার বিভিন্ন অংশে এক হাজারেরও বেশি পুলিসকর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল। বিসর্জন পর্বে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সাংসদ পার্থ ভৌমিক এবং নৈহাটি বিধানসভা উপ নির্বাচনের তৃণমূল প্রার্থী সনৎ দে। ভাসানের পর কাঠামো গঙ্গা থেকে তুলে আনা হয়। বিসর্জনের সময় গঙ্গায় যাতে কোনও বিপদ না ঘটে, সেকারণে বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের কর্মীরা নৌকা নিয়ে হাজির ছিলেন। বেলা ২টোর পর ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। বড়মার বিসর্জনের পর অরবিন্দ রোডের কদমকালী, বেচাকালী, গাজাকালী, হকার কালী বিসর্জন করা হয়। বড়মার বিসর্জনের পরই অন্য প্রতিমার ভাসান হয়, এটাই রীতি নৈহাটিতে। এবার বড়মা’র পুজো অতীতের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গিয়েছে। পুলিসের হিসেব বলছে, গত কয়েকদিনে কমপক্ষে ১৫ লক্ষ দর্শনার্থী এসেছেন বড়মাকে দর্শন করতে। ব্যারিকেড করে ভিড় সামলাতে হয় পুলিসকে। ভিড়ের চাপে অসুস্থ হয়ে পড়েন বেশ কয়েকজন।