নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: আমডাঙায় জমিজটে দীর্ঘদিন ধরে আটকে রয়েছে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ। জট কাটাতে জমিদাতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছে প্রশাসন এবং জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ। কিন্তু অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। এমন আবহে সোমবার দুপুরে আমডাঙার পূর্বধুনিয়া এলাকায় শুরু হয় রাস্তা সম্প্রসারণের কাজ। কিন্তু তাতে বাধা দেন এলাকাবাসীরা। চলে দীর্ঘক্ষণ জাতীয় সড়ক অবরোধ। পুলিস গেলে তাদেরও ঘিরে ধরে বিক্ষোভ হয়। জমি মালিকদের এই বিক্ষোভের ফলে কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকা শ্রমিকরা।
কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগের অন্যতম লাইফ লাইন ১২ নং জাতীয় সড়ক বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে শুরু হয়েছে। জেলা সদর থেকে আমডাঙার সন্তোষপুর পর্যন্ত রাস্তার সম্প্রসারণ হয়ে গিয়েছে। গাড়ির গতিও বেড়েছে। কিন্তু আমডাঙার সন্তোষপুর থেকে রাজবেড়িয়া মোড় পর্যন্ত সম্প্রসারণ আটকে রয়েছে দীর্ঘ বছর।
জানা গিয়েছে, সন্তোষপুর থেকে রাজবেড়িয়া পর্যন্ত প্রায় ১৮ কিলোমিটার এলাকায় রয়েছে ২১টি মৌজা। এই অংশে জমিদাতার সংখ্যা প্রায় ১২ হাজার। ফাঁকা জমি, বাড়ি যেমন রয়েছে, তেমনই দোকানঘর ও কয়েকটি কারখানাও রয়েছে। অধিগ্রহণের জন্য দু’ধারের জমিও চিহ্নিত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু জমির দখলে নিতে পারেনি প্রশাসন। সঠিক ক্ষতিপূরণের দাবিতে এর আগেও একাধিকবার আন্দোলন করেছেন জমিদাতারা। পরবর্তীতে ন্যায্য অধিকার রক্ষা কমিটি গড়েছেন তাঁরা। সোমবার সকালে কাজ শুরুর আগে শুরু হয় তুমুল বচসা। জমি মালিক শেখ আব্দুল ওয়াহাব, অনাথ বাগ বলেন, ২০১৩ সালের জমি অধিগ্রহণ আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে। তাহলে আর সরকারকে আমাদের কাছে আসতে হবে না, আমরাই সরকারের দুয়ারে গিয়ে জমি তুলে দেব।
এদিকে জমি রক্ষা কমিটির সভাপতি আব্দুল সামাদ বলেন, আমরা উন্নয়নের পক্ষে। চাই জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণ হোক। তবে সেজন্য আমাদের ২০১৩ সালের আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে এই নিয়ম হলেও আমাদের ক্ষেত্রে তা মানা হচ্ছে না। এ নিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি নারায়ণ গোস্বামী বলেন, এলাকার মানুষের ক্ষোভের কথা শুনেছি। দ্রুত সমস্যা মেটানো