পড়ুয়া বেশি দেখিয়ে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ বাদুড়িয়ায়, অঙ্গনওয়াড়ি শিক্ষিকাকে ঘরে বন্ধ করে বিক্ষোভ বাসিন্দাদের
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বসিরহাট: এক অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রের শিক্ষিকাকে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবক, গ্রামবাসীরা। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, স্কুলে বেশি ছাত্রছাত্রী আসছে বলে দেখিয়ে টাকা আত্মস্যাৎ করেছেন। এছাড়াও একাধিক অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। দীর্ঘক্ষণ একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার পর পুলিস এসে উদ্ধার করে ওই আইসিডিএস শিক্ষিকা অন্নপূর্ণা হালদারকে।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাদুড়িয়ার চাতরা গ্রাম পঞ্চায়েতের পোতাপাড়া ২৩ নম্বর আইসিডিএস সেন্টারে ঘটেছে এই ঘটনা। অভিযোগ, কাগজেকলমে উপস্থিতির হার বেশি দেখানো থেকে শুরু করে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। ছাতু, ডিম সহ অন্যান্য পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয় না। এমনকী যে খিচুড়ি রান্না হয়, তার অর্ধেকও বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শিক্ষিকা গোরু-ছাগলদের খাওয়ান। এছাড়া সময় মতো সেন্টারেও আসেন না তিনি, এমনকী রোজও আসেন না। এমন একাধিক অভিযোগে ওই কেন্দ্রের শিক্ষিকা অন্নপূর্ণা হালদারকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবক ও গ্রামবাসীরা। এই খবর শুনে বাদুড়িয়া থানার পুলিস ঘটনাস্থলে আসে। পুলিস সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে ওই শিক্ষিকাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয় দাবি করে অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। আর চাতরা পঞ্চায়েতের প্রধান আসলামউদ্দিন বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে পোতাপাড়া আইসিডিএস স্কুলের অভিভাবকরা শিক্ষিকাকে রান্নার স্থান পরিবর্তন করতে বলছেন। কিন্তু শিক্ষিকা সে কথায় কর্ণপাত না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশেই রান্না করে শিশুদের খেতে দিচ্ছেন। ওই রান্নাঘর চত্বরে বর্ষার জল জমে আছে। সেখানে রান্না করা খাবার খেয়ে শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়েতে পারে। আর উত্তর ২৪ পরগনার জেলা পরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বুরহানুল মুকাদ্দিম গাজি (লিটন) বলেন, কোনও শিক্ষিকাকে আটকে রাখাটা দুর্ভাগ্যজনক। আইসিডিএস এবং ব্লক আধিকারিককে বলব, অবিলম্বে বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করে সঠিক পদক্ষেপ করা হোক।