• আর্থিকভাবে উন্নত ও নারীবান্ধব গ্রাম গড়ার পরিকল্পনা হুগলিতে, প্রকল্প তৈরির নির্দেশ
    বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: গ্রামের সব মানুষের ন্যূনতম রোজগার থাকবে। আগ্রহীদের সবার হাতে কাজ থাকবে, অভাব থাকবে না। আর্থিক দিক থেকে স্বাবলম্বী এমনই গ্রাম গড়তে চায় হুগলি জেলা প্রশাসন। পাশাপাশি, নারীবান্ধব গ্রামও গড়া হবে। নারী শিক্ষা থেকে নিরাপত্তা— সবই সেখানে নিশ্চিত হবে। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের জন্য এই প্রকল্প হাতে নিয়েছে পঞ্চায়েত দপ্তর। সম্প্রতি জেলার ১৮টি ব্লককে নির্দেশিকা দিয়ে এই বিষয়ক পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়েছে। সেই পরিকল্পনাকে সামনে রেখেই জেলার উন্নয়ন কর্মসূচি তৈরি করা হবে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্প তৈরির কাজ ব্লকগুলিতে শুরু হয়েছে। বিষয়টিকে বিজ্ঞানসম্মত করে তুলতে জেলা প্রশাসন গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে প্রশিক্ষণ দিতে শুরু করেছে।

    হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি রঞ্জন ধাড়া বলেন, নির্দিষ্ট লক্ষ্যকে সামনে রেখে জেলার উন্নয়ন পরিকল্পনাকে ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ করে রূপায়ণ করা হয়। ২০২৫-’২৬ অর্থবর্ষের জন্য এমনই ১৩টি লক্ষ্যকে স্থির করা হয়েছে। হুগলি জেলায় তারমধ্যে সাতটিকে গুরুত্ব দিয়ে রূপায়ণের কথা ভাবা হয়েছে। তারমধ্যে অভাবমুক্ত ও কর্মনিশ্চয়তার গ্রাম, নারীবান্ধব গ্রাম, সুস্বাস্থ্যের গ্রাম গড়ার পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী অর্থবর্ষে সেই লক্ষ্যেই গ্রামীণ অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের কাজ করা হবে। হুগলির মগরা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রঘুনাথ ভৌমিক বলেন, চুঁচুড়া-মগরার ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্য সুস্বাস্থ্যের গ্রাম তৈরির নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক আমরা পরিকল্পনা তৈরি করছি।

    জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমান সময়ে থিম ভিত্তিক উন্নয়নের পরিকল্পনা তৈরি করছে রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তর। গ্রামীণ চাহিদাকে যাচাই করে ওই থিম তৈরি করা হয়। সেই নিরিখেই প্রতি অর্থবর্ষে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য তৈরি করে তা পূরণের কাজ করা হয়। এই প্রক্রিয়ার নাম দেওয়া হয়েছে ‘সঙ্কল্প’। থিমগুলি রাজ্যস্তর থেকে নির্বাচন করা হয়। জেলা প্রশাসন তা প্রয়োজনের ভিত্তিতে ব্লক ভিত্তিতে ভাগ করে দেয়।

    সম্প্রতি সেই নির্দেশিকা গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিকে দেওয়া হয়েছে। সেই অনুসারে অভাবমুক্ত, কর্মনিশ্চয়তার লক্ষ্যপূরণে জন্য বলাগড়, তারকেশ্বর ও পুরশুড়া ব্লককে বাছা হয়েছে। নারীবান্ধব গ্রাম তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছে হরিপাল, শ্রীরামপুর-উত্তরপাড়া ও গোঘাট-২ ব্লকে। চণ্ডীতলা-২, খানাকুল-১ ও ধনেখালি ব্লকের পঞ্চায়েতকে শিশুবান্ধব গ্রাম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সামাজিক ন্যায়ের গ্রাম তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাণ্ডুয়া, জাঙ্গিপাড়া, খানাকুল-২ নম্বর ব্লককে। চুঁচুড়া-মগরা, চণ্ডীতলা-১, আরামবাগ ব্লকের গ্রামগুলিকে সুস্বাস্থ্যের গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা হবে। সুশাসনের গ্রাম হবে পোলবা-দাদপুর, সিঙ্গুর ও গোঘাট-১ নম্বর ব্লকের গ্রামগুলি।
  • Link to this news (বর্তমান)