আদালতে গোপন জবানবন্দি ধর্ষিতার, কিশোরী ও পরিবারের সঙ্গে কথা কমিশনের উপদেষ্টার
বর্তমান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, বনগাঁ: সোমবার গাইঘাটায় নির্যাতিতার বাড়িতে এলেন রাজ্য শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী। তবে সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না কেউ। ফলে কারও দেখা না পেয়ে তাঁরা চলে যান ঘটনাস্থলে। যেখানে নাবালিকার উপর পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছিল, সেই স্থান ঘুরে দেখেন তাঁরা। পরে বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসারত নির্যাতিতার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন অনন্যা চক্রবর্তী। কথা বলেন নাবালিকার বাবা-মায়ের সঙ্গেও। পরে অনন্যা চক্রবর্তী বলেন, আমি মেয়েটির সঙ্গে ও তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের আশ্বস্ত করেছি। কমিশনের পক্ষ থেকে পুলিস সুপার ও জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে গুরুত্ব সহকারে দেখতে অনুরোধ করা হয়েছে। ওই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বামেদের পক্ষ থেকেও গাইঘাটা থানায় ডেপুটেশন দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এদিন বনগাঁ আদালতে নাবালিকার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পর থেকে অসুস্থতার কারণে বনগাঁ হাসপাতালে ভর্তি ছিল নাবালিকা। এদিন গোপন জবানবন্দি দিতে হাসপাতাল থেকে আদালতে আনা হয় তাকে। উল্লেখ্য, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় এলাকায় টিউশন পড়তে যাওয়ার সময় দশম শ্রেণির ওই ছাত্রীকে রাস্তায় একা পেয়ে প্রতিবেশী যুবক সুজিত পাল ওরফে বাবুসোনা তাকে জোর করে পাশের জঙ্গলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই কিশোরীকে প্রাণনাশের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শনিবার বিকেলে কিশোরীর মা বাড়ি থেকে বেরিয়ে গেলে ওই ছাত্রী গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। থানায় অভিযোগ দায়ের হলে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস।
গাইঘাটার এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিশেষ করে এলাকার মহিলাদের মধ্যে চাপা আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অভিযুক্তের পরিবার রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চাইছে না। তবে চাপা ক্ষোভ রয়েছে।
ঘটনার পর নির্যাতিতার পরিবারকে নানাভাবে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিশোরীর বাবা জানান, তাঁরা আতঙ্কে রয়েছেন। পরিবারকে রাজনৈতিকভাবে চাপ দেওয়া হচ্ছে।