'ফাঁসিয়েছে সরকার,চুপ করিয়েছে ডিপার্টমেন্ট', সঞ্জয়ের দাবি নিয়ে কী বললেন ডাক্তাররা
হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
কলকাতার আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় চার্জ গঠন হয়েছে আদালতে। ১১ নভেম্বর থেকে শিয়ালদা আদালতের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রটের এজলাসে রোজ শুনানি হবে এই মামলার। মামলায় ধৃত সঞ্জয় রায়ের বিরুদ্ধে খুন ও ধর্ষণের ধারা প্রয়োগ করেছে সিবিআই। আর গতকাল আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সঞ্জয় দাবি করল, সরকার তাকে ফাঁসাচ্ছে। এমনকী তার আরও অভিযোগ, ডিপার্টমেন্ট তাকে ভয় দেখিয়ে চুপ থাকতে বলেছে। সঞ্জয়ের এহেন বিস্ফোরক মন্তব্যের পর এবার মুখ খুললেন আন্দোলনকারী ডাক্তারদের অন্যতম কিঞ্জল নন্দ। তাঁর সোজা বক্তব্য, এই ঘটনা একা একজন ঘটাতে পারে না। কিঞ্জলের আরও দাবি, সঞ্জয়কে কেউ ফাঁসিয়ে থাকলে সেই তথ্য প্রকাশ্যে আনুক সিবিআই।
সঞ্জয়ের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল কিঞ্জল ভিডিয়ো বার্তায় বলেন, 'আমরা আন্দোলনকারী, তদন্তকারী নই। আদালতের নজরদারিতে সিবিআইকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তিন মাস কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত সঞ্জয় রায় ছাড়া কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে তাতে সঞ্জয় রায় ছাড়া আর কারও নাম নেই। একাজ একজন করতে পারে না। সিবিআই এতদিন ধরে কী করল? সিবিআই কেন এই জিনিসটিকে গুরুত্ব সহকারে দেখছে না? আজ সঞ্জয় বলেছেন, তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। কে ফাঁসিয়েছে, কেন ফাঁসানো হচ্ছে? সেই তথ্য সিবিআইয়ের সামনে আনা উচিত।'
এর আগে গতকাল কী বলেছিল সঞ্জয়? আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের বক্তব্য ছিল, 'আমার কথা শোনেনি। আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব কিছু দেওয়া হচ্ছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমাকে সেখানেও বলতে দেয়নি। আমাকে নীচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছেই না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে। তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখিয়ে এই করেছে। আমি কিন্তু পুরোপুরি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এটাই কি ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়?' এই আবহে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন, 'কারা ফাঁসিয়েছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে? কেন ফাঁসানো হয়েছে?'