গৃহবধূর দাবি, তাঁর চিৎকারের শব্দে প্রতিবেশীরা বাড়ির দিকে এগিয়ে আসেন। তা দেখে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সেখান থেকে পালিয়ে যান। কিন্তু এর পরে অভিযুক্তের পরিবারের লোকেরা গৃহবধূর পরিবারের উপর চড়াও হন এবং মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় থানায় সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের পাশাপাশি আরও দু’জনের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এর পরে তা প্রত্যাহারের জন্যও অভিযুক্তের পরিবার চাপ দিচ্ছিল বলে দাবি গৃহবধূর। স্থানীয় থানার বিরুদ্ধেও তদন্তে গড়িমসির অভিযোগ মহিলার। থানায় অভিযোগ গ্রহণের পরেও শুরুতে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে দাবি তাঁর।
স্থানীয় থানার বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ তুলে সোমবার মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদবের দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণেরও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় থানা থেকেও এখনও পর্যন্ত বিশেষ কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। যদিও পুলিশের একটি সূত্রে খবর, অভিযুক্ত এবং ওই মহিলা পূর্ব পরিচিত ছিলেন। তাঁদের মধ্যে কোনও বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ওই সূত্র।
এর আগে দেখা গিয়েছে, আরজি কর হাসপাতালে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনাতেও মূল অভিযুক্ত একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। এর পর মালদহের এই ঘটনায় আবারও সিভিক-যোগ উঠে আসায় ইতিমধ্যে রাজ্য প্রশাসনকে বিঁধতে শুরু করেছে বিরোধী শিবির। ঘটনার নিন্দা করেছেন বিজেপির মালদহ উত্তর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত। কেন পুলিশ এখনও অভিযুক্তের বিরুদ্ধে দৃষ্টব্যমূলক পদক্ষেপ করেনি, তা নিয়ে প্রশ্ন উজ্জ্বলের। যদিও তৃণমূলের মালদহ জেলার মুখপাত্র আশিস কুনডুর দাবি, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং আইন মেনেই পুলিশ কাজ করছে।