লালবাজার সূত্রের খবর, গত জানুয়ারিতে একটি গাড়ি সংস্থার ক্যামাক স্ট্রিটের ডিস্ট্রিবিউটরের তরফে অভিযোগে জানানো হয়, তাদের সিউড়ি এবং ইলামবাজারে দু’টি অফিস রয়েছে। সেখান থেকে পণ্যবাহী গাড়ি বিক্রি করা হয়। অভিযোগ, সেখানকার কর্মীরা গত বছর বেশ কয়েকটি পণ্যবাহী ভারী গাড়ি বিক্রি করেন। কিন্তু সেগুলির দামের এককালীন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা জমা পড়েনি সংস্থার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। তবে, গাড়ির মালিকেরা নিয়মিত মাসিক কিস্তি দিয়ে গিয়েছেন বলে সংস্থার তরফে পুলিশকে জানানো হয়।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেখানকার কয়েক জন কর্মীই ওই ঘটনায় যুক্ত। তারা গাড়ি বিক্রি করে ক্রেতাদের কাছ থেকে এককালীন টাকা নগদে নিয়েছে। অভিযোগ, সেই টাকা সংস্থায় জমা দেওয়ার বদলে নিজেরা রেখে দেয় তারা। ওই টাকার বিনিময়ে গাড়ির মালিকদের যে রসিদ দেওয়া হয়েছে, তা-ও ভুয়ো বলে অভিযোগ। এর পরেই কিছু দিন আগে পুলিশ সেলিম বলে এক জনকে গ্রেফতার করে। তাকে জেরা করেই বেশ কিছু তথ্য উঠে আসে। যার ভিত্তিতে পুলিশ জাহিরকে গত সপ্তাহে গ্রেফতার করে। তার এক সঙ্গী পলাতক বলে পুলিশ জানিয়েছে।