প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু, শূন্যপদের তালিকা চাইল পর্ষদ
দৈনিক স্টেটসম্যান | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
পুজো মিটতেই হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীর জন্য সুখবর। অবশেষে রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হল। ইতিমধ্যেই স্কুলগুলির কাছে শূন্যপদের তালিকা চেয়ে পাঠিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। সূত্রের খবর, চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যেই এই সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। ২০২২ সালের পাশাপাশি ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণরাও এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন।
২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার্থীদের জন্যও রয়েছে ভালো খবর। চলতি মাসেই টেটের রেজাল্ট প্রকাশ করবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০২৩-এর টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন মোট সাড়ে তিন লক্ষ পরীক্ষার্থী। টেটের ফল প্রকাশের পরই শুরু হয়ে যাবে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া।
রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে বর্তমানে কত শূন্যপদ রয়েছে, স্কুল শিক্ষা দপ্তরের থেকে সেই তালিকা চাওয়া হয়েছে। স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে জেলাভিত্তিক তালিকা পাঠাতে বলেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। পর্ষদ সূত্রে খবর, ডিসেম্বরের শুরুতেই প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের নতুন বিজ্ঞাপন দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। ২০২২ এবং ২০২৩ সালের টেট উত্তীর্ণরা নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাবেন।
২০২২ ও ২০২৩ সালে টেট পরীক্ষা হলেও উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের এখনও নিয়োগ করেনি পর্ষদ। সূত্রের খবর, এ নিয়ে চাকরিপ্রার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ জমছিল। সেই বিষয়টি আঁচ করেই তড়িঘড়ি নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ইতিমধ্যে উচ্চ প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করেছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে নিয়োগপত্র পেতে চলেছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হলেও চলতি বছর সম্ভবত টেট হবে না। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি গৌতম পাল সম্প্রতি বলেছেন, ‘আগে দ্রুত নিয়োগ করতে হবে। তারপরই নেওয়া হবে পরীক্ষা।’ তিনি আরও বলেন, অনেকেই বলছেন পর্ষদ সভাপতি আগে বলেছিলেন, প্রতিবছর নিয়োগ পরীক্ষা নেবে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে যদি ঘন ঘন মামলা হয়, তাহলে বোর্ড কীভাবে তার প্রতিশ্রুতি রাখবে।
২০২২ সালে টেট পরীক্ষায় বসেছিলেন কয়েক লক্ষ পরীক্ষার্থী। দেড় লক্ষ প্রার্থী সেই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেও তাঁদের নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। তার আগেই ২০২৩ সালে টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়। যদিও সেই পরীক্ষার রেজাল্ট এখনও প্রকাশ করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রের খবর, কিছু আইনি জটিলতা ছিল। সেই কারণে নিয়োগ প্রক্রিয়াগুলো আটকে ছিল।