পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে আচমকাই সুশীল কুমারের নাক-মুখ দিয়ে রক্তপাত হতে শুরু করে। পরিবার দেরি না করে তাঁকে SSKM-এ নিয়ে আসেন। কিন্তু হাসপাতাল থেকে জানানো হয় যে, কোনও বেড খালি নেই। এরপর তারা একে একে কলকাতা ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ ও নীলরতন হাসপাতালেও যায়। প্রত্যেক হাসপাতালে একই উত্তর তারা পায় যে, 'বেড নেই'। কোথাও ভর্তি করাতে না পেরে অবশেষে সুশীলবাবুর পরিবার দ্বারস্থ হন মুখ্যমন্ত্রীর কালীঘাটের বাসভবনে। সেখান থেকে চিঠি লিখে দেওয়ায় তাঁকে ফের এসএসকেএমে আনা হয়। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
পরিবার সংবাদমাধ্যমকে আক্ষেপের সুরে জানিয়েছেন, সোমবারই ভর্তি নিলে অকালে চলে যেতে হত না সুশীলবাবুকে। অন্যদিকে, সরকারের দাবি ১ নভেম্বর থেকে কলকাতার সমস্ত হাসপাতালে চালু হয়েছে ইন্টিগ্রেটেড রেফারাল সিস্টেম। মানে কোন হাসপাতালে কোন ডিপার্টমেন্টে কত বেড খালি রয়েছে তা অনলাইনে দেখতে পাবেন সবাই। তাও একই অবস্থা হাসপাতালে-হাসপাতালে। মঙ্গলবার SSKM হাসপাতালের এই ঘটনায় আন্দোলনকারী চিকিৎসকরা বলছেন, এই ঘটনায় ফের প্রমাণিত হল ব্যক্তি নয়, ভরসা রাখা উচিত ব্যবস্থাতেই।