জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক বছর আগে বাদল রায়কে ছেড়ে চলে যায় তার স্ত্রী। এরপর থেকে বাড়িতে ছোট্ট মেয়েকে নিয়েই থাকতেন বাদল রায়। স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন পেশায় দিনমজুর বাদল রায়। সবকিছুই ঠিকঠাক-ই চলছিল। কিন্তু এদিন সকাল থেকে বাদল রায়ের বাড়িতে কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। এরপর স্থানীয়রা বাদল রায় ও তার মেয়েকে ডাকাডাকি করেন । কিন্তু কোনও সাড়া পাওয়া যায়নি । এরপরই তাঁরা দেখতে পান, একই দড়িতে ঝুলছে বাবা ও মেয়ে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধূপগুড়ি থানার পুলিস। পুলিস এসে দেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে আসে ধূপগুড়ি মহকুমা হাসপাতালে। মানসিক অবসাদ থেকেই বাবা ও মেয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও ঘটনা লুকিয়ে রয়েছে, তার তদন্ত শুরু করেছে ধূপগুড়ি থানার পুলিস। দেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।