ঘটনাটি কী? ত্রিপুরার বাসিন্দা আশিস দাস অনলাইনে খোঁজ করছিলেন ভুট্টা কিনে সাপ্লাই করবেন, এই ইচ্ছে নিয়ে। এমন সময় তাঁর কাছে ফোন আসে এডি গ্লোবাল এক্সপোর্ট এন্ড লজিস্টিক নামে এক সংস্থা থেকে। চুক্তি হয় ধাপে ধাপে ৩ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা প্রায় ৬ কোটি টাকায় কিনবেন আশিস বাবু। পার্চেস অর্ডার অনুযায়ী ইসলামপুরে গিয়ে প্রথম দফায় এক ট্রাক ভুট্টার জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা পেমেন্ট করে দেন তিনি।
এদিকে ওই প্রথম দফার পরই চুক্তিভঙ্গ করে অভিযুক্ত সংস্থা জানায়, পুরো ৩ হাজার মেট্রিক টন ভুট্টা একবারেই নিতে হবে আশিসবাবুকে। আশিসবাবু চুক্তিভঙ্গের কথা জানালে সংস্থা জানায়, তার ৫ লাখ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। জুন মাস থেকে সেই টাকা ফেরত তো দূর অস্ত, উল্টে ট্রাক পরিবহনের ড্যামারেজ চার্যও দিতে হয় নিজের পকেট থেকে।
প্রতারণার শিকার হয়েছেন বুঝতে পেরে থানা পুলিসের দ্বারস্থ হওয়ায় অনলাইনে আশিস বাবুর অ্যাকাউন্টে ৫০ হাজার টাকা পাঠায় সংস্থাটি। সেই টাকা তুলতে গিয়ে আশিসবাবু টের পান তাঁর নিজস্ব অ্যাকাউন্টটিও ফ্রিজ করে দিয়েছে ব্যাঙ্ক। কারণ হিসেবে জানতে পারেন, বিহারেও একই ধরণের একটি প্রতারণায় ওই সংস্থার বিরুদ্ধে সাইবার ক্রাইমে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাই ওই সংস্থার লেনদেন আশিসবাবুর সঙ্গে হওয়ায় তার অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। সবদিক থেকে দেউলিয়া হয়ে ত্রিপুরা ছেড়ে কলকাতায় একটি আশ্রমে আশ্রয় নিয়ে থানা-পুলিস ছুটে বেড়াচ্ছেন ওই প্রৌঢ়।