দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: সোশাল মিডিয়ায় আলাপ কয়েকমাস আগেই। আলাপ ক্রমশ ঘনিষ্ঠতায় গড়ায়। ভারচুয়াল দুই বন্ধু ঠিক করে, কালীপুজোয় রাতভর একসঙ্গে ঠাকুর দেখা হবে। আর দেবী দর্শনে গিয়েই বিপত্তি। অভিযোগ, ভারচুয়াল ‘প্রেমিক’কে ভরসা করে বাড়ি থেকে বেরনোর পর গণধর্ষণের শিকার হতে হল বছর বাইশের যুবতীকে। নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ তদন্তে নেমে দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকি দুজন এখনও অধরা। তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
ঘটনা গড়িয়ার (Garia) ঢালুয়া এলাকার। কালীপুজোর পরেরদিন, ১ নভেম্বর রাতে ভারচুয়াল ‘প্রেমিকে’র সঙ্গে ঠাকুর দেখতে বেরিয়েছিলেন পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকার ওই নির্যাতিতা যুবতী। গড়িয়া স্টেশনে তাঁরা দেখা করেন। অভিযোগ, এর পর ঠাকুর দেখতে না গিয়ে ঢালুয়ার একটি নির্জন বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। সেখানে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে মাদক মিশিয়ে খাইয়ে দেওয়া হয়। তাতে বেহুঁশ হয়ে যান তরুণী। অভিযোগ, অচৈতন্য অবস্থায় যুবতীকে ধর্ষণ করে চারজন মিলে।
পরে ওই বাড়ি থেকে তরুণীকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসার পর তিনি ছাড়া পেয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাতেই গোটা ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন পূর্ব যাদবপুর এলাকার ওই বাসিন্দা। অভিযোগপত্রে তিনি জানান, তাঁকে প্রেমিকের বন্ধুরা মিলে ধর্ষণ করে। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের নাম রাজীব সর্দার ও রাকেশ নস্কর। বাকি দুজন এখনও পলাতক। সোশাল মিডিয়ায় আলাপের পর ভারচুয়াল ‘প্রেমিকে’র উপর ভরসা করে বেরনো যে কতটা বিপজ্জনক, এই ঘটনা ফের তা প্রমাণ করে দিল।