ধর্ষণ নিয়ে কেবলমাত্র বিরোধী দলের নেতারাই উদ্বেগে রয়েছেন তেমনটা নয়। ইতিমধ্য়েই শাসকদলের নেতারাও এনিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে এবার বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের শায়েস্তা করতে বড় দাওয়াইয়ের কথা ঘোষণা করেন।
সুকান্ত বলেন, আজকে জয়নগর হোক বা আরজি কর হোক, মুখ্য়মন্ত্রী ও তাঁর দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও। এরপরই তিনি বুলডোজার নীতির কথা ঘোষণা করেন।
সোমবার কালনায় ছিল বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান। সেখানে নারীদের সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগের কথা উল্লেখ করেন তিনি। সুকান্ত বলেন, আজকে জয়নগর হোক বা আরজিকর হোক মুখ্য়মন্ত্রী ও তার দলবলের কী সলিউশন? মেয়ের বাবা মাকে কোনওভাবে ফুঁসলিয়ে নিয়ে যায়। তাঁদের হাতে চেক ধরাও। বাংলায় বিজেপি সরকার তৈরি হলে ধর্ষকের বাড়ির সামনে বুলডোজার দাঁড়িয়ে থাকবে। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন সুকান্ত।
এদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বার বার এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এবার সুকান্ত জানিয়ে দিলেন বুলডোজার নীতির কথা। ধর্ষকের বিরুদ্ধে কঠোরতম শাস্তির নিদান। কেবলমাত্র ফাঁসি বা জেল নয়, একেবারে যোগীর দাওয়াইয়ের কথা উল্লেখ করলেন সুকান্ত। কার্যত বুলডোজার দিয়ে বাড়ি গুড়িয়ে দেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত মজুমদার।
তবে বাস্তবে এই নীতি প্রয়োগ করা কতটা বাস্তবসম্মত, কতটা আইনগত ছাড়পত্র মিলবে তা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন রয়েছে। তবে সূত্রের খবর, উত্তরপ্রদেশে অপরাধ দমনে এই বুলডোজার নীতির প্রয়োগ অতীতে হয়েছে। বাংলায় ক্ষমতায় এলে সেই নীতির প্রয়োগের কথা উল্লেখ করলেন সুকান্ত।
এদিকে বাংলা জুড়ে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনার কথা সামনে আসছে। অস্বস্তি বাড়ছে শাসকদলের। আরজি করের সেমিনার হলে মহিলা চিকিৎসকে ধর্ষণ আর খুনের ঘটনার পর থেকে কার্যত গোটা দেশ জুড়েই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছিল। তবে আরজি করের পরেও একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগের কথা সামনে আসছে। কোথাও গ্রেফতার হচ্ছে। কোথাও আবার গ্রেফতার করতে গড়িমসি করছে পুলিশ। মালদা থেকে হুগলি সর্বত্র একই ছবি।
এদিকে আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছে। সেই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'সঞ্জয় রায় দাবার বোড়ে। আরজি করের ঘটনায় যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে আজকে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য সেটাই প্রমাণ করছে। যতই দূরবৃত্ত সে হোক না কেন এই রকমভাবে খুন করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী আরজি করের ঘটনার পর মন্তব্য করেছিলেন সকাল থেকে তিনি মনিটর করছেন সারারাত ঘুমাতে পারেননি। কী মনিটর করেছেন? কীভাবে দেহ লোপাট করা যায়? সিবিআইয়ের তদন্তে এগুলো আসা উচিৎ। আসল লোকেরা পর্দার আড়ালে রয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। সিবিআই-এর তদন্তে এই বিষয়গুলো আসা দরকার। প্রথম দিন থেকেই বলছি, এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র।