আরজি কর কাণ্ডে সিবিআই তদন্তে সন্তুষ্ট নন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এই আবহে কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের উদ্দেশে ১০টি প্রশ্নবাণ ছুঁড়েছেন ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। যদিও গতকাল আদালতে সিবিআই আইনজীবী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, চার্জশিট পেশ করা মানেই তদন্ত শেষ হয়ে যাওয়া নয়। আর এই আবহে এবার সিবিআইয়ের পক্ষেই কথা বললেন বাম নেতা তথা আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। এই নিয়ে তিনি বললেন, 'সিবিআই তদন্ত সঠিক পথেই যাচ্ছে। আর সেই কারণে, যারা তদন্ত ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল, তাদের খোঁজার চেষ্টা চলছে। সিবিআই-এর উচিত বিষয়টিকে আরও গভীরে গিয়ে তদন্ত করা।'
সঞ্জয়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'সঞ্জয় রায় দাবার বোড়ে। আরজি করের ঘটনায় যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে আজকে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য সেটাই প্রমাণ করছে। যতই দূরবৃত্ত সে হোক না কেন এই রকমভাবে খুন করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী আরজি করের ঘটনার পর মন্তব্য করেছিলেন সকাল থেকে তিনি মনিটর করছেন সারারাত ঘুমাতে পারেননি। কী মনিটর করেছেন? কীভাবে দেহ লোপাট করা যায়? সিবিআইয়ের তদন্তে এগুলো আসা উচিৎ। আসল লোকেরা পর্দার আড়ালে রয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। সিবিআই-এর তদন্তে এই বিষয়গুলো আসা দরকার। প্রথম দিন থেকেই বলছি, এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। সঞ্জয় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ করবে, এটা ভাবা যায় না। হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই রকম ভাবে হত্যা করবে, বিষয়টা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। আজকে সেটা সত্য প্রমাণিত হল।'
এর আগে অবশ্য গতকাল সিবিআইয়ের উদ্দেশে একাধিক প্রশ্ন করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা। তাঁদের প্রশ্ন, 'আরজি করে নির্যাতিতার দেহে পাওয়া তরলের ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট কী বলছে? আদৌ কি সেই পদার্থের পরীক্ষা করা হয়েছিল?' সঙ্গে ডাক্তারদের প্রশ্ন, 'ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতিতার শরীরের ওপরের অংশে অভিযুক্তের লালারস মিলেছে। তাহলে সেই রিপোর্টে সাদা সেই তরল পদার্থের কোনও উল্লেখ নেই কেন?' এরই সঙ্গে চিকিৎসকদের আরও অভিযোগ, '৯ অগস্ট ময়নাতদন্তের সময় নমুনা সংগ্রহ করা হলেও কেন্দ্রীয় ফরেন্সিক ল্যাবে তা পাঠানো হয় ১৪ অগস্ট। এত সময় লাগল কেন?'