গতকালই আরজি কর কাণ্ডে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায় দাবি করেছিল, সে ধর্ষণ ও খুন করেনি। বরং তাকে 'ডিপার্টমেন্ট' ও সরকার ফাঁসাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল। এই আবহে এবার 'দফতরের প্রধান'কে জেরা করার দাবি তুললেন বাম নেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্টে তিনি লেখেন, 'অভিযুক্ত আজ বলেছে, সে খুন ধর্ষণ করেনি। ডিপার্টমেন্ট তাকে মুখ বন্ধ রাখতে বলেছে। ডিপার্টমেন্টের প্রধান কে? সিবিআই দু'শ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। স্বচ্ছ তদন্তের স্বার্থে আরও একজন, অর্থাৎ ডিপার্টমেন্টের প্রধানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে না কেন? নাকি সেটিংয়ের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না?'
এদিকে সঞ্জয়ের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে বাম নেতা তথা বর্ষীয়ান আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, 'সঞ্জয় রায় দাবার বোড়ে। আরজি করের ঘটনায় যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে আজকে সঞ্জয় রায়ের বক্তব্য সেটাই প্রমাণ করছে। যতই দূরবৃত্ত সে হোক না কেন এই রকমভাবে খুন করতে পারে না। মুখ্যমন্ত্রী আরজি করের ঘটনার পর মন্তব্য করেছিলেন সকাল থেকে তিনি মনিটর করছেন সারারাত ঘুমাতে পারেননি। কী মনিটর করেছেন? কীভাবে দেহ লোপাট করা যায়? সিবিআইয়ের তদন্তে এগুলো আসা উচিৎ। আসল লোকেরা পর্দার আড়ালে রয়েছে। বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। সিবিআই-এর তদন্তে এই বিষয়গুলো আসা দরকার। প্রথম দিন থেকেই বলছি, এটা একটা বড় ষড়যন্ত্র। সঞ্জয় একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে ধর্ষণ করবে, এটা ভাবা যায় না। হাসপাতালের ভিতরে একজন চিকিৎসককে একজন সিভিক ভলেন্টিয়ার এই রকম ভাবে হত্যা করবে, বিষয়টা আমার কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। আজকে সেটা সত্য প্রমাণিত হল।'
এর আগে গতকাল কী বলেছিল সঞ্জয়? আরজি কর কাণ্ডে ধৃতের বক্তব্য ছিল, 'আমার কথা শোনেনি। আমি এতদিন চুপচাপ ছিলাম। আমার কোনও কথা শোনেনি। আমাকে বিনা কারণে ফাঁসানো হয়েছে। আমার নামে সব কিছু দেওয়া হচ্ছে। আমি কিন্তু রেপ অ্যান্ড মার্ডার করিনি। আমাকে সেখানেও বলতে দেয়নি। আমাকে নীচে নামিয়ে দিল। আমার কথা শুনছেই না। সরকারই আমাকে ফাঁসাচ্ছে। আমি এতদিন চুপ ছিলাম। আমাকে সব জায়গায় ভয় দেখাচ্ছে। তুমি কিছু বলবে না। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখিয়ে এই করেছে। আমি কিন্তু পুরোপুরি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। এটাই কি ভারতীয় সংবিধানের ন্যায়?' এই আবহে আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তারদের প্রশ্ন, 'কারা ফাঁসিয়েছেন অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে? কেন ফাঁসানো হয়েছে?'