আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করার ঘটনায় শিয়ালদা আদালতে চার্জগঠন হয়েছে। এই মামলার শুনানি হবে ১১ নভেম্বর থেকে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা বাংলায় জুনিয়র ডাক্তাররা আন্দোলনে নেমে পড়েন। অনশন করেন। আর রাজ্য সরকারের সামনে নানা দাবির ফিরিস্তি তুলতে থাকেন। যা মেনে নেওয়ার পর আন্দোলন–অনশন উঠে গিয়েছে। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা থামেনি। নানা জেলায় এই ঘটনা ঘটেই চলেছে। আর এই নারী নির্যাতনের ঘটনাকে সামনে নিয়ে এসে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যার পালটা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিলেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ।
একদিকে রাজ্যপালের উদ্বেগপ্রকাশ অপরদিকে কুণাল ঘোষের খোঁচায় সরগরম হয়ে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি। এই আবহে আবার শিয়ালদা আদালত থেকে বেরিয়ে আসার সময় ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায় নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে। সে চিৎকার করে প্রিজন ভ্যান থেকে বলতে থাকে, ‘এতদিন আমি চুপ করেছিলাম। আর আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। ডিপার্টমেন্ট আমাকে ভয় দেখাচ্ছে। আমাকে মুখ না খুলতে বলা হয়েছে।’ তবে সন্দীপ ঘোষ এবং অভিজিৎ মণ্ডলকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত আবার জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সুতরাং এখনও আরজি কর হাসপাতাল মামলার বিচার শেষ হয়নি।
সেখানে সোমবার রাজভবনে জয় জওয়ান দিবস পালন করা হয়েছে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নারী নির্যাতন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে সরাসরি বলেন, ‘এমন অপরাধের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সাধারণ মানুষের আরও সজাগ এবং সচেতন হওয়া উচিত। শহিদদের যে ত্যাগ এই দেশের জন্য সেটা সবসময় মনে রাখা উচিত। গোটা দেশ এই ত্যাগের জন্য চিরকাল কৃতজ্ঞ থাকবে। সেনাবাহিনী দেশবাসীর সুরক্ষায় যে দায়িত্ব পালন করছে সেটা অনস্বীকার্য। দেশের ১৪০ কোটি নাগরিকের তাই উচিত তাঁদের পাশে দাঁড়ানো।’
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নারী নির্যাতন ইস্যুকে সামনে নিয়ে এসে মন্তব্য করেছেন। আর তারপরই সেই মন্তব্য নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা কুণাল ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘রাজ্যপালের বিরুদ্ধেই দু’জন মহিলাকে যৌন নিগ্রহ করার অভিযোগ আছে। রাজ্যপাল নিজে সাংবিধানিক ক্ষমতার অপব্যবহার করে তদন্ত ঠেকিয়ে রেখেছেন। আপনার বিরুদ্ধে যে দু’জন মহিলার অভিযোগ রয়েছে তাঁদের মুখোমুখি হয়ে বিষয়টির সুরাহা করুন। তাজ প্যালেসের ঘটনার সমাধান হোক। তার লাইভ স্ট্রিমিং হোক। উপরের দিকে থুতু ছুঁড়লে নিজের গায়েই পড়বে।’