• কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ, মামলার বিশদ জানাল অ্যাসোসিয়েশন
    হিন্দুস্তান টাইমস | ০৫ নভেম্বর ২০২৪
  • আরজি কর কাণ্ডের পর থেকে প্রতিবাদী চিকিৎসকদের অন্যতম 'মুখ' হয়ে উঠেছেন কিঞ্জল নন্দ। তিনি নিজে আরজি করের পড়ুয়া। আরজি করের ঘটনার পরই শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে রাজ্য জুড়ে সব মেডিক্যাল কলেজেই নানান অভিযোগ সামনে এসেছে। উঠেছে থ্রেট কালচারের অভিযোগ। সেই থ্রেট কালচারে অভিযুক্তরা আবার 'জুনিয়র ডাক্তার অ্যাসোসিয়েশন' খুলেছেন। সেই অ্যাসোসিয়েশন এবার কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধে হওয়া ১০ বছর পুরনো মামলা সামনে আনল। অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, ২০১৪ সালে কিঞ্জলের শ্বশুর প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল পুলিশে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে।

    অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, কিঞ্জলের শ্বশুরের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১১ নভেম্বর এফআইআর করা হয়েছিল গড়িয়াহাট থানায়। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ডঃ প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারায় মামলা করে পুলিশ। পুলিশি রিপোর্টে দাবি করা হয়, ১২৩এ রাসবিহারী অ্যাভিনিউয়ের এনজি মেডিকেয়ারের চিকিৎসাকেন্দ্রে ঘটেছিল সেই যৌন হেনস্থার ঘটনা। এই আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের অ্যাসোসিয়েশন দাবি করেছে, সেই সময় নাকি মামলাটি ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন প্রসন্ন কুমার ভট্টাচার্য। পরে ২০১৫ সালের ৮ অগস্ট পুলিশ চার্জশিট জমা দেয় অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। সেই মামলার শুনানি এখনও চলছে। এই আবহে এবার কিঞ্জলের দিকে পালটা চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে অ্যাসোসিয়েশনের দাবি, 'আরজি কর কাণ্ডের নির্যাতিতা বা নিজের শ্বশুরকে বেছে নিক কিঞ্জল।'

    উল্লেখ্য, আরজি কর কাণ্ডের শুরু থেকেই আন্দোলনের দিশা দেখিয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট। আরজি করের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের সবকটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তাররা সেই সংগঠন তৈরি করেন। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ফ্রন্টের বিরুদ্ধে নতুন সংগঠন গড়েছেন বিরোধী পক্ষের জুনিয়র ডাক্তাররা। এরপর থেকেই ফ্রন্টের বিরুদ্ধে নানান প্রশ্ন তুলেছেন তারা। উঠেছে নানান অভিযোগ। আর এবার দশবছর পুরনো মামলার ঘটনা সামনে এনে আন্দোলনকারীদের অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে অ্যাসোসিয়েশনের জুনিয়র ডাক্তাররা।

    এর আগে অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে শ্রীশ চক্রবর্তী অভিযোগ করেছিলেন, 'নির্যাতিতার বিচারের নামে ৪.৭৫ কোটি টাকা তুলেছেন অনিকেতরা। আমাদের বিরুদ্ধে যে অন্যায় ঘটে চলেছে, সেই অন্যায়ের জন্য যে মানসিক এবং শারীরিক ক্ষতি হয়েছে সেটার একটি প্রমাণ বাংলার মানুষের সামনে তুলে ধরতে আমরা এখানে উপস্থিত হয়েছি।' পরে এই শ্রীশের একটি ছবি ভাইরাল হয়, যেখানে তাঁকে সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল। যা নিয়ে বিস্তর চর্চা এবং বিতর্ক হয়েছিল। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)