অন্য দিকে, তদন্তের স্বার্থে পার্থকে হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে সিবিআই। পাশাপাশি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলকেও জেল হেফাজতে রাখার আবেদন জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। সেই মতো আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত দু’জনেরই জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
২০২২ সালের ২৩ জুলাই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। তার আগে তাঁর নাকতলার বাড়িতে চলেছিল দীর্ঘ তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ পর্ব। একই সময়ে পার্থের ‘ঘনিষ্ঠ’ বলে পরিচিত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জ এবং বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছিল ইডি। তল্লাশিতে টালিগঞ্জের ‘ডায়মন্ড সিটি’ আবাসনে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়। উদ্ধার হয় প্রচুর বিদেশি মুদ্রা এবং সোনার গয়নাও। পরে অর্পিতার আরও একটি ফ্ল্যাট থেকে বিপুল নগদ উদ্ধার হয়। মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ছিল ৪৯ কোটি ৮০ লাখ।
বর্তমানে প্রেসিডেন্সি জেলে বন্দি রয়েছেন পার্থ। ইডির পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে সিবিআইও অভিযোগ আনে। দুই মামলাই এখনও বিচারাধীন। ইতিমধ্যে বহু বার জামিনের আবেদনও করেছেন পার্থ। কিন্তু তা মঞ্জুর হয়নি। এর আগে ইডির মামলায় জামিন চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পার্থ। সেই জামিনের বিরোধিতা করে ইডি। গত এপ্রিলের ওই শুনানি শেষে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ পার্থের জামিনের আবেদন খারিজ করেন। সম্প্রতি সিবিআইয়ের দায়ের করা নিয়োগ দুর্নীতি মামলাতেও পার্থের জামিনের আবেদন খারিজ করেছে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিচারপতি অপূর্ব সিংহ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। একই মামলায় পার্থ ছাড়াও গ্রেফতার হয়েছিলেন সুবীরেশ ভট্টাচার্য, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ শিক্ষা দফতরের একাধিক আধিকারিক। পার্থের পাশাপাশি তাঁদের জামিনের মামলাতেও শুনানি হয়েছে হাই কোর্টে।