২০২৩ সালে কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক আধুনিক ভেসেল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর জন্য ১১টি নেক্সড জেনারেশন এবং ছ’টি মিসাইল ভেসেল তৈরি করা সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রক। সেই ১১টি নেক্সড জেনারেশন ভেসেলের মধ্যে চারটি তৈরি করছে জিআরএসই। এই ১১টি ভেসেল তৈরি করতে খরচ পড়ছে প্রায় ৯,০০০ কোটি টাকা। উপকূলবর্তী এলাকায় নজরদারি চালানোর পাশাপাশি জলসীমায় টহল, পাচার রোখা, সন্ত্রাস দমনের কাজে ব্যবহার করা হবে ভেসেলগুলি। বিপর্যয়ের সময় উদ্ধারকাজেও নামবে এই এজিওপিভি ভেসেল। জিআরএসইতে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হবে ভেসেলগুলি। তার ভিতরে থাকবে ১২.৭ এমএম এসআরসিজি (মেশিনগান), একে-৬৩-র মতো অস্ত্র। তাতে ক্যামেরা বসানো হবে।
আগের ওপিভিগুলির তুলনায় পরের প্রজন্মের এই ওপিভি আকারে অনেক বড় এবং মজবুত। ঝড়ঝাপটায় এর খুব একটা ক্ষতি হয় না। এর দৈর্ঘ্য প্রায় ১১৩ মিটার। চওড়ায় ভেসেলটি ১৪.৬ মিটার। ২৩ নটস (ঘণ্টায় প্রায় ৪২ কিলোমিটার) পর্যন্ত গতিতে চলতে পারে আধুনিক এই ভেসেল। ১৪ নটস গতিতে ৮,৫০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যেতে পারে। ২৪ আধিকারিক, ১০০ জন নাবিক চাপতে পারে এক একটি ভেসেলে। এই ভেসেল ২০২৬ সালে ভারতীয় নৌসেনার হাতে তুলে দেবে জিআরএসই। তার পর আরও শক্তিশালী হবে নৌসেনা বলেই মনে করা হচ্ছে। মঙ্গলবার কলকাতার জিআরএসই-তে সেই ভেসেল নির্মাণের সূচনা হল। সেখানে রাজ্যপালের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন জিআরএসই সংস্থার চেয়ারম্যান তথা ম্যানেজিং ডিরেক্টর কমোডোর পিআর হরি (অবসরপ্রাপ্ত)। ১৯৬০ সালে জিআরএসই অধিগ্রহণ করে ভারত সরকার। এর আগে এই সংস্থার তৈরি বেশ কয়েকটি অত্যাধুনিক ভেসেল মরিশাস, সেশেলসের মতো দেশে রফতানি করা হয়েছে।