পুজোর আগে এক দিনের অধিবেশন ডেকে অপরাজিতা বিল পাশ করিয়েছে রাজ্য সরকার। ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় কড়া শাস্তি দিতে এই বিলটি পাশ করেছিল রাজ্য। পাশাপাশি, গণপিটুনি বিল নিয়েও তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। বিমানের জবাব, ‘‘রাজ্যপাল আমাদের জানিয়েছেন যে, অনুমোদনের জন্য তিনি বিলটি (অপরাজিতা বিল) রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন। গণপিটুনি বিল নিয়ে কিছু জানি না। এই সংক্রান্ত বিষয় সবার আগে জানা উচিত বিধানসভার। বিল জেনারেট হয় বিধানসভায়, তা পাশ করা হয় বিধানসভায়।’’
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে স্পিকার বিমানের বিবাদের দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। বিধানসভায় পাশ হওয়া বিল নিয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করেছে দু’পক্ষই। আবার এই সংঘাত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে নতুন বিধায়কদের শপথগ্রহণকে কেন্দ্র করে। আগামী ১৩ নভেম্বর রাজ্যের ছয়টি বিধানসভা এলাকায় উপনির্বাচন। ২৩ নভেম্বর ভোটগণনা। এর আগে দু’টি উপনির্বাচনের পর কার্যত রাজ্যপালকে এড়িয়ে তৃণমূলের জয়ী বিধায়কেরা শপথ নিয়েছেন। যা নিয়ে রাজভবনের ক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছিল। আগামী শীতকালীন অধিবেশনেও উপনির্বাচনে জয়ী প্রার্থীরা শপথ নেবেন। তাই বিমানের সঙ্গে আনন্দ বোসের সংঘাতের আরও একটি বড় পর্বের অপেক্ষায় রাজ্য রাজনীতির বিশ্লেষকেরা।