ঘটনাটি ঠিক কী? সামনেই ছটপুজো। সেই উপলক্ষে হরিপালে লোকমঞ্চে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে আয়োজন করেছিল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস। কবে? গতকাল, সোমবার। শাসকদলের কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন হরিপালের বিধায়ক, রাজ্যের মন্ত্রী বেচারাম মান্না। সঙ্গে হরিপালের বিডিও পারমিতা ঘোষও। সেই ভিডিয়ো এখন ঘুরছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ভিডিয়ো দেখা যাচ্ছে, তৃণমূলের কর্মসূচি যোগ দিয়ে সাধারণ মানুষকে বস্ত্র বিলি করছেন বিডিও। হরিপাল ব্লকে সিপিএমের এরিয়া কমিটি সম্পাদক মিন্টু বেরার অভিযোগ, গোটা রাজ্যেই এখন প্রশাসন আর তৃণমূল দলকে এক করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। হরিপালও ব্যতিক্রম নয়। অতীতে কোনও বিডিও হরিপালের বুকে দাঁড়িয়ে এই ঘটন ঘটাননি। কিন্তু এই বিডিও আসার পর বিডিও অফিসটাকে কার্যত তৃণমূলের পার্টি অফিসে পরিণত করে ফেলেছেন। সন্ধে থেকে বিডিও অফিসের তৃণমূল কর্মীদের অবাধ বিচরণ। স্টাফ না হয়েও, জনপ্রতিনিধি না হওয়া সত্ত্বেও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে বিডিও অফিসটাকে ব্যবহার করে'।
হরিপাল পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি, তৃণমূল নেতা বাবলু গায়েনের অবশ্য দাবি, ,গতকাল লোকমঞ্চে বস্ত্র বিতরনের অনুষ্ঠান ছিল। বিডিও সেখানে ছিলেন কিনা বলতে পারব না। মনে হচ্ছে পুরোনো ভিডিয়ো'। মুখে কুলুপ এঁটেছেন বিডিও।
এর আগে, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে আইবুড়ো ভাত থেকে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও রজনীশ কুমার যাদব। গোটা কর্মকাণ্ড হয়েছিল ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদে (বিডিএ) চেয়ারম্যান কাকলি তা গুপ্তের স্নেহের ছায়ায়। উপস্থিত ছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। বিডিও-কে রীতিমতো চন্দনের ফোঁটা ও দুর্বা দিয়ে আর্শীবাদ করেছিলেন কাকলী। তৃণমূল নেত্রীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করে দেখা গিয়েছিল বিডিও-কেও।