ধীমান রায়, কাটোয়া: দিনেদুপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা! বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগ নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে অভিযুক্ত। নির্যাতিতার থেকে বাধা পেয়ে তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বধর্মানের মঙ্গলকোটে। নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতকে বুধবার আদালতে পেশ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম রফিকুল শেখ ওরফে কানাই। এদিকে মঙ্গলকোটের ক্ষীরগ্রামের বাসিন্দা বছর চল্লিশের ওই বধূর স্বামী লটারি বিক্রেতা। ছেলে বাইরে কাজ করেন। মঙ্গলবার বাড়িতে একাই ছিলেন ওই বধূ। অভিযোগ, সেই সময় রফিকুল বাড়িতে ঢুকে পিছন থেকে বধূর মুখ চেপে ধরে। অতর্কিত হামলা সামলে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে থাকেন তিনি। ধস্তাধস্তির সময় কার্যত বিবস্ত্র হয়ে যান ওই বধূ। তখন তাঁর উপর শুরু হয় পাশবিক নির্যাতন। শরীরের একাধিক জায়গায় কামড়ে ও খামচে দেয় অভিযুক্ত। আরও অভিযোগ, নির্যাতিতা কোনওক্রমে ঘরের বাইরে চলে এলে ঘরে থাকা কাটারি নিয়ে রফিকুল হামলা করতে আসে। এর পরই বধূর চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তখনই পালিয়ে যায় অভিযুক্ত। গ্রামবাসীরা বধূকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৈচর ফাঁড়ির পুলিশ। সন্ধ্যায় বধূ কৈচর পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করতে আসেন। এর পরই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত রফিকুল মঙ্গলকোটের কুরুম্বা গ্রামের বাসিন্দা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অভিযুক্ত পেশায় রাজমিস্ত্রি। বধূর পাড়াতে একটি নির্মীয়মাণ বাড়িতে কাজ করছিল সে। কাটোয়া মহকুমা পুলিশ আধিকারিক কাশীনাথ মিস্ত্রি বলেন, “অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ধৃতকে আদালতে পাঠানো হবে।”