ছয় বছরে শেষ হয়নি প্রকল্পের কাজ, এখনও বাড়িতে পৌঁছল না পানীয় জল
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, আরামবাগ: বাড়ি বাড়ি পানীয় জল সরবরাহের কাজ ধীরগতিতে চলায় ক্ষোভে ফুঁসছেন খানাকুল ১ নম্বর ব্লকের ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরপাড়ার মানুষ। তাঁরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, প্রায় ৬ বছর ধরে তৈরি হয়েছে রিজার্ভার। তৈরির পরও চার মাস কেটে গেছে। এখনও পর্যন্ত আমরা বাড়িতে পানীয় জল পাচ্ছি না। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে জানিয়েছি। নেতানেত্রীদের কাছে তদ্বিরও করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই আমাদের দূর থেকে জল এনে রান্নার কাজে ব্যবহার করতে হচ্ছে। এতে আমাদের খুব সমস্যা হচ্ছে। আমরা তাই অবিলম্বে এই প্রকল্পের কাজটি শেষ করার দাবি জানাচ্ছি। এই প্রসঙ্গে ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান আলেয়া বেগম বলেন, আমরা সবসময় সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি। ওই কাজ শেষ হলে প্রায় পাঁচ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। ওই প্রকল্পের কাজ যাতে দ্রুত শেষ করা হয়, সেই বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমার অন্যান্য জায়গার তুলনায় ওই এলাকাটিতে জলস্তর অনেকটাই নীচে অবস্থিত। ওই এলাকায় পঞ্চায়েত যে সমস্ত হ্যান্ডটিউবওয়েল বসিয়েছে, তার অধিকাংশই বিকল হয়ে পড়েছে। ফলে গ্রামের মানুষজনকে প্রতিদিন পানীয় জল সংগ্রহ করতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাম আমল থেকে তাঁরা বারবার ওই এলাকায় পিএইচই রিজার্ভার তৈরির দাবি জানিয়ে আসছিলেন। বাম আমলে গ্রামের মানুষের কথাকে মান্যতা না দেওয়া হলেও তৃণমূলের আমলে প্রায় ৬ বছর আগে গ্রামবাসীদের আবেদনে সাড়া দিয়ে ওই এলাকায় একটি পিএইচই রিজার্ভার তৈরি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়। সেই সময় মন্ত্রী অসীমা পাত্র এই প্রকল্পটির শিলান্যাস করেন। তারপর থেকে কেটে গেছে অনেকগুলি বছর। বর্তমানে রিজার্ভার তৈরি শেষ হলেও পাইপলাইনের মাধ্যমে জল সরবরাহ শুরু হয়নি। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, খুব ধীরগতিতে চলছে প্রকল্পের কাজ। স্থানীয় বাসিন্দা রবীন জানা বলেন, আমাদের গ্রামে বাড়িতে ট্যাপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহের ব্যবস্থা নেই। যাঁদের পয়সা রয়েছে, তাঁরা বাড়িতে সাবমার্সিবল পাম্প লাগিয়ে ফেলেছেন। বাকিদের বাড়ি থেকে দূরে গিয়ে লাইনে দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে তবে জল সংগ্রহ করে আনতে হয়। এতে আমাদের খুবই সমস্যা হচ্ছে। তাই আমরা অবিলম্বে ওই কাজ দ্রুত শেষ করার দাবি জানাচ্ছি।