নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: অধ্যাপকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্তার অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ দেখালেন কলেজ ছাত্রীরা। আর সেই বিক্ষোভকে ঘিরে মঙ্গলবার উত্তাল হয়ে উঠল হরিহরপাড়ার হাজি এ কে খান কলেজ চত্বর। পরে ছাত্রীরা জোট বেঁধে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষকে ডেপুটেশন দেন। বিষয়টির গুরুত্ব বুঝে তিনি গভর্নিং বডির সঙ্গে দ্রুত আলোচনায় বসবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। সেই সঙ্গে অভিযুক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও ছাত্রীদের আশ্বস্ত করেন। তারপরই পরিস্থিতি শান্ত হয়।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষা-বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক। কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রীরা তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ তুলে শোরগোল ফেলে দিয়েছেন। কলেজের ফার্স্ট সেমেস্টারের ছাত্রীদের অভিযোগ, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে সরাসরি যৌন সম্পর্ক তৈরির প্রস্তাব দেন অভিযুক্ত ওই অধ্যাপক। এমনকী, এই কথা জানাজানি হলে পড়ুয়াদের ক্ষতি হয়ে যাবে বলে তিনি হুঁশিয়ারি দেন। যদিও অভিযুক্ত অধ্যাপকের দাবি, ছাত্রীদের তোলা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তাঁকে চক্রান্ত করে ফাঁসানো হচ্ছে।
কলেজের এক ছাত্রী এদিন জানিয়েছেন, শিক্ষা বিজ্ঞান বিভাগের ওই অধ্যাপক তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন। প্রস্তাব দিয়েছিলেন, আমাদের সঙ্গে নিভৃতে সময় কাটাবেন বলে। এই প্রস্তাব মেনে নিলে আমাদের বেশি নম্বর দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কলেজের অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে সেটিং করে দেওয়ার জন্য বলেছিলেন। সেই সঙ্গে সতর্ক করে দিয়েছেন, প্রিন্সিপালকে এসব বললেও উনি নাকি কিছুই করতে পারবেন না।
কলেজের অপর এক ছাত্রী বলছিলেন, ‘একদিন ক্লাসে আমরা দু’জন মাত্র ছাত্রী ছিলাম। সেই সময় এক সহপাঠীর গায়ে হাত দিয়েছিলেন ওই অধ্যাপক। তারপর থেকে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছে। আমরা বিষয়টি প্রিন্সিপালকে জানালে আমাদের ক্ষতি হবে। আমরা এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ শুনেছি। অনেক ছাত্রীদের সঙ্গে নাকি এমন সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। এমন শিক্ষক কলেজে থাকলে আমাদের সমস্যা। ওঁর কড়া শাস্তির দাবি করছি। আমরা কলেজের অধ্যক্ষকে লিখিতভাবে সব জানিয়েছি।’ কলেজের অধ্যক্ষ গৌতম কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমি এই প্রথম পড়ুয়াদের কাছ থেকে এমন ধরনের অভিযোগ পেলাম। পুআজ ছাত্রীরা লিখিত অভিযোগ জমা দিয়েছে। আমি সেই অভিযোগ পাওয়ার পরই গভর্নিং বডিকে জানিয়েছি।