• ভরা বাজারে সাইকেল, বাইক, টোটো পার্কিং করায় যানজট, নাকাল পথচারীরা
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, নবদ্বীপ: নবদ্বীপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশ পথ জওহরলাল নেহরু রোড। এই রোডের চারিচারা বাজার মোড়ের পাশে রয়েছে চারিচারা বাজার। প্রতিদিন এখানে বাজার করতে এসে একশ্রেণির মানুষ যত্রতত্র রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে রাখছেন সাইকেল, স্কুটি, মোটর সাইকেল, টোটো। এর ফলে নিত্যদিনই যানজটে নাকাল হতে হচ্ছেন বাজার করতে আসা সাধারণ মানুষ, ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে পথচারীদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে বাজারের সময় এই রাস্তায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হোক।

    নবদ্বীপ পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের দীর্ঘদিনের পুরনো এই চারিচারা বাজার। শহরে ঢোকার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা জওহরলাল নেহরু রোড। এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার দু’দিকে বাজার করতে এসে এক শ্রেণির মানুষ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গাড়ি রেখে বাজার করেন। ওইসব যানবাহনের জন্য আটকে থাকা রাস্তা দিয়ে ঠিকমতো যাতায়াত করা যায় না। বিশেষ করে সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত এই সমস্যা বেশি হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাস্তার উপর থেকে এইসব যানবাহন সরিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।

    প্রতিদিন এই বাজারে রাধাবাজার, নন্দীপাড়া, দেয়ারা পাড়া,  ব্যানার্জি পাড়া, অন্নপূর্ণাতলা, পাঁচমাথা রোড, ভুঁইচারা পাড়া সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষ বাজার করতে আসেন। এমনিতেই রাস্তাটির এই অংশটি খুবই সংকীর্ণ, তার মধ্যে রাস্তাজুড়ে প্রতিদিন এইভাবে যানবাহন দাঁড়িয়ে থাকায় নবদ্বীপ ধাম স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে ট্রেনযাত্রী এবং বাসযাত্রীরা যাতায়াত করতে নাকাল হন। সেইসঙ্গে এই রাস্তাটি দণ্ডপাণিতলা, রাধবাজার পোড়ামাতলা সহ বিভিন্ন মঠ মন্দির যাওয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পথ। তবে সব থেকে সমস্যা বাড়ে  অ্যাম্বুলেন্স যাতায়াত করার সময়। স্কুলের সময় ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে পড়ুয়াদের সমস্যায় পড়ার বিষয়টি তো রয়েইছে।

    স্থানীয় স্টেশনারি ব্যবসায়ী অপূর্ব ঘোষ বলেন, সকাল ৯টার থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বাজার চলাকালীন খুবই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। রাস্তার দু’ধারে মোটর সাইকেল, স্কুটি, টোটো এইসব দাঁড় করিয়ে রেখে বাজারে যাচ্ছেন একশ্রেণির মানুষ। এমনকী এসব যানবাহন সরাতে বললেই মাঝে মধ্যে বচসা, অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে হচ্ছে। তবে এই রাস্তায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি সকাল ৮টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণের জন্য সিভিকের ব্যবস্থা করা হয়, তাহলে যানজট থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যাবে।(স্থানীয় বাসিন্দা ইন্দ্রজিৎ গুপ্ত বলেন, বিশেষ করে স্থানীয় দোকানদার থেকে শুরু করে প্রবীণ নাগরিকদেরও অসুবিধায় পড়তে হয়। মাঝেমধ্যে ছোটখাটো দুর্ঘটনা লেগেই থাকছে। স্থানীয় কাউন্সিলার নির্মল দেব বলেন, আমি নিজে ওখানে বাজার করি। সেই সময় যানবাহন চালকদের অনুরোধ করি। কিন্ত তাতে কোনও কাজ হয় না। সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত ওই এলাকায় ট্রাফিকের ব্যবস্থা করার বিষয়ে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করব।
  • Link to this news (বর্তমান)