নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর:উৎসবের মরশুমে ভারত থেকে বাংলাদেশে দেদার পাচার হচ্ছে নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। সীমান্ত পেরলেই দাম বাড়ছে চারগুণ। তাই মরিয়া হয়ে উঠেছে পাচারকারীরা। মুর্শিদাবাদ জেলার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় রাতের অন্ধকারেই কাশির সিরাপ পাচার চলছে। গত এক সপ্তাহে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এক কোটি টাকারও বেশি মূল্যের নিষিদ্ধ সিরাপ উদ্ধার করেছে পুলিস। জানা গিয়েছে, ভারতীয় বাজারে এক একটি ১০০ মিলিলিটার কাশির সিরাপের বোতলের দাম মাত্র ২০৩ টাকা। সেই সিরাপ বাংলাদেশে পাচার করতে পারলেই মিলছে ৮০০ টাকা। চারগুণ মুনাফার লোভে সীমান্তের বাসিন্দারা উঠে পড়ে এই সিরাপ পাচারের কাজে নেমেছে।
এই মরশুমে বাংলাদেশে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সিরাপ। শীতের আগেই কয়েক গুণ বেড়ে যায় তার দাম। ফলে কয়েক বছর ধরেই এই সিরাপ পাচারের রমরমা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশে নেশার জন্য এই সিরাপের যথেষ্ট জনপ্রিয়তা রয়েছে। বাংলাদেশের সাধারণভাবে মদ পাওয়া যায় না। সেদেশের মদের উপর আংশিক নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। সেই কারণে নেশাগ্রস্তরা বিভিন্ন উপায় খুঁজে নেয়। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে সক্রিয় মুর্শিদাবাদ সীমান্তের দুষ্কৃতীরা বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ পাঠিয়ে দিচ্ছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের গোরক্ষপুর ও বারাণসীতে তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত কোডাইন মিশ্রিত এই কাশির সিরাপ, যা শুধুমাত্র নেশার জন্য ব্যবহার হয় ওপার বাংলায়। বাংলাদেশে পাচার করতে পারলেই এক একটি সিরাপের শিশি থেকে অন্তত ৫০০ টাকা লাভ মেলে।