• সাংসদ তহবিলের টাকায় কমিউনিটি হলের সংস্কার শুরু, খুশি বাসিন্দারা
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, করিমপুর: সাংসদ তহবিলের টাকায় করিমপুরের পাট্টাবুকায় কমিউনিটি হলের সংস্কার শুরু হওয়ায় খুশি এলাকার মানুষ। প্রায় ত্রিশ বছর আগে তৈরি এই হলে একসময় এলাকার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান কিংবা মিটিং অনুষ্ঠিত হতো। কিন্তু দীর্ঘদিন দেখভালের অভাবে হলটি সাপ, ব্যাঙ পোকামাকড়ের আশ্রয়স্থল হিসাবে পরিত্যক্ত গুদাম ঘরে পরিণত হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ১৯৯৪ সাল নাগাদ করিমপুর পাট্টাবুকা মাছের বাজারে খাস জমিতে প্রায় বারো লক্ষ সরকারি টাকা খরচ করে এই কমিউনিটি হল নির্মিত হয়েছিল। করিমপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির নিয়ন্ত্রণাধীন এই কমিউনিটি হলটি তখন ঝাঁ চকচকে চেহারায় সাজানো ছিল। সেই সময় এখানে ছোটখাট বহু অনুষ্ঠান হতো। একসময় এখানে সরকারি অনুষ্ঠান থেকে রাজনৈতিক মিটিংও হয়েছে। কিন্তু পরবর্তী সময়ে এই সরকারি সম্পত্তি দেখভালের অভাবে নষ্ট হতে বসেছে। 

    করিমপুর শরৎ স্মৃতি নাট্য সংস্থার সভাপতি দেবপ্রসাদ সান্যাল বলেন, পাট্টাবুকার কমিউনিটি হলটিও খুব ভালো ছিল। ওখানে নাটকের উপযোগী সাউন্ড সিস্টেম ছিল না। বাকি সমস্ত ব্যবস্থাপনা ঠিক ছিল। ওই হলটি এখন সংস্কার করে এবং সাউন্ড ব্যবস্থা ঠিক করলে ওখানে বহু নাটক পরিবেশন করা যাবে। করিমপুরের একাধিক নাট্য সংস্থার উদ্যোগে প্রতিবছর শীতের মরশুমে নাট্যমেলা অনুষ্ঠিত হয়। অথচ নাটক মঞ্চস্থ করার জন্য এখানে কোনও স্থায়ী মঞ্চ নেই। বেশি টাকা খরচ করে অস্থায়ী মঞ্চে নাটক করার জন্য বহু নামকরা শিল্পী এখানে আসতে চান না। সম্প্রতি করিমপুরবাসীর দাবি মেনে স্থানীয় বিধায়কের চেষ্টায় একটি অডিটোরিয়াম তৈরি সরকারি অনুমোদন পেয়েছে। নতুন অডিটোরিয়াম নির্মাণের কাজও চলছে। আগামী দিনে সেখানে নাটক মঞ্চস্থ হবে। 

    করিমপুর দর্পণ মুখের খোঁজে পত্রিকার সম্পাদক দেবজ্যোতি কর্মকার বলেন, ওই হলে আমরা ২০১২-১৩ সালে দুইবার আন্তর্জাতিক কবি সম্মেলনের আয়োজন করেছিলাম। বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে কবিরা এসেছিলেন। কিন্তু এখন সেটা অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছিল। হলটি নতুন করে সংস্কার করা হলে করিমপুরের সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ উপকৃত হবেন। করিমপুর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি তৃণমূলের আলাউদ্দিন মণ্ডল বলেন, ওই হলটি নতুন করে সংস্কার করা হচ্ছে যাতে এখানে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা যায়। বিশেষ করে শীতকালে করিমপুরে বহু নাটক অনুষ্ঠিত হয়। এই হলটি চালু হলে নাট্যানুষ্ঠান ছাড়াও ছোট ছোট অনুষ্ঠান করতে পারলে সবাই খুশি হবেন। 

    এব্যাপারে মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান বলেন, করিমপুরের মানুষ সংস্কৃতি সম্পন্ন। এখানে নাটক সহ বছরভর প্রচুর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়। ওই কমিউনিটি হলের সংস্কার করার জন্য এলাকার মানুষ বহুদিন আগে থেকে দাবি করে আসছিলেন। সেই দাবি পূরণ করতে আমার সাংসদ তহবিল থেকে প্রায় ছাব্বিশ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। 
  • Link to this news (বর্তমান)