প্রথাগত তত্ত্ব এখন বদলেছে, যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এক্স ফ্যাক্টর
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, বিধাননগর: ড্রোন। হামলার নতুন মাধ্যম ড্রোন। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধেও দেখা গিয়েছে ড্রোন হামলার ছবি। তাই ড্রোন হামলা রুখতে কাউন্টার ড্রোন গ্রিড তৈরি অত্যন্ত জরুরি। কলকাতায় আয়োজিত ‘ইস্ট টেক-২০২৪’-এ হাজির হয়ে ড্রোন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখলেন ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচান্দের তিওয়ারি। তিনি বলেন, ‘যুদ্ধক্ষেত্রে প্রথাগত তত্ত্ব বদলে গিয়েছে। যুদ্ধক্ষেত্রে ড্রোনই এখন এক্স ফ্যাক্টর’। সামরিক ক্ষেত্রে ড্রোনের উন্নতির পাশাপাশি, আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে কার্যকর কাউন্টার ড্রোন গ্রিড থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও তিনি মন্তব্য করেছেন।
মঙ্গলবার শহরের সায়েন্স সিটিতে বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে শুরু হয়েছে দু’দিনের ইস্ট টেক-২০২৪। চলবে, আজও। সেখানে প্রতিরক্ষার অস্ত্র ও সরঞ্জাম তৈরির ১৪০টি কোম্পানি অংশ নিয়েছে। নানা ধরনের ড্রোন, নতুন প্রযুক্তির রাইফেল, সেনাদের পোশাক, নানা ধরনের রোবট, পাহাড়ি এলাকার জন্য বিশেষ ধরনের গাড়িসহ প্রতিরক্ষায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তির প্রদর্শনী করেছে ওই কোম্পানি। এদিন অনুষ্ঠানের শুরুতেই দেশের সেনা প্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখেন। ছিলেন ভারতীয় সেনার পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল রামচান্দের তিওয়ারি, রাজ্যের ক্রীড়া, আবাসন এবং বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, এসআইডিএমের প্রেসিডেন্ট রাজেন্দ্রর সিং ভাটিয়া সহ অনেকেই।
ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে রয়েছে ভারত-চীন সীমান্ত। এদিন পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান বলেন, ইস্টার্ন কমান্ডের অধীনে রয়েছে লার্জেস্ট অপারেশনাল এরিয়া। চ্যালেঞ্জিং এলাকা রয়েছে। একটি ময়েশ্চারজার প্রুফ স্টোরেজও দরকার। প্রতিরক্ষায় অনেক উন্নতি এসেছে। এবার ইস্টার্ন কমান্ডের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৪০০ কোটি টাকা। প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরিতে যুক্ত রয়েছে এমএসএমই। বাংলার এমএসএমই’কেও যুক্ত হওয়ার জন্য আহ্বান করেন তিনি। মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম তৈরির ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে আরও বেশি করে উৎসাহিত করতে আগ্রহী রাজ্য সরকার। বাংলার অবস্থানগত সুবিধা এবং মেধার সুযোগ যাতে এই শিল্পক্ষেত্র নেয়, তার আর্জি জানান তিনি।