মোচ্ছব করার টাকা না দেওয়ায় মারধর ব্যবসায়ী পরিবারকে, আটক ২ দুষ্কৃতী
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: দীপাবলির দিন মোচ্ছব করার জন্য ব্যবসায়ীর কাছ থেকে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁর বাড়িতে চড়াও হয়ে দুষ্কৃতীরা ব্যবসায়ী, তাঁর মা এবং পরিবারের অন্যদের মারধর করে। অভিযুক্তদের মারে নাক ফেটেছে ওই ব্যবসায়ীর। ঘটনাটি ঘটেছে গিরিশ পার্ক এলাকায়। লিখিত অভিযোগ হওয়ার পর থানা নির্দিষ্ট ধারায় কেস রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে পুলিস।
গিরিশ পার্ক এলাকার বারাণসী ঘোষ স্ট্রিটের বাসিন্দা সঞ্জীবকুমার সাউয়ের ব্যবসা রয়েছে। ২৭ অক্টোবর তিনি কাজ সেরে বাড়ির কাছে দাঁড়িয়েছিলেন। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, এই সময় ভিকি শর্মা নামে একজন সেখানে এসে তাঁকে বলে দীপাবলিতে তারা পার্টি করবে। সেখানে অনেকে হাজির থাকবে। মোচ্ছব করার জন্য সে টাকা দাবি করে। কিন্তু ওই ব্যবসায়ী কোনও টাকা দিতে রাজি হননি। অভিযোগকারীর দাবি, এতে উত্তেজিত হয়ে তাঁকে ধাক্কা মারে অভিযুক্ত। ব্যবসায়ী তাকে বাড়ির সামনে থেকে সরে যেতে বলেন। একথা শোনার পর ভিকি তাঁকে লক্ষ্য করে অশ্লীল গালাগাল দিতে শুরু করে এবং বলে এর উপযুক্ত শিক্ষা সে দেবে। ফোন করে অভিযুক্ত তার বন্ধুদের ডেকে পাঠায়। এরমাঝে গেট টেনে বাড়ির ভিতরে ঢুকে যান সঞ্জীব।
কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁর বাড়ির সামনে ভিকির নেতৃত্বে পাঁচ-ছয়জন যুবক বাইকে করে এসে হাজির হয়। ব্যবসায়ীর বাড়ি লক্ষ্য করে গালাগাল করতে থাকে। সঞ্জীব ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা নীচে নেমে এসে এর প্রতিবাদ করেন। এতে উত্তেজিত হয়ে ভিকি ও তার শাগরেদরা বাড়ির সামনে তাণ্ডব বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে হুমকি দিয়ে বলে, টাকা না দিলে তাঁদের বাড়ির সামনে ছেড়ে যাবে না। অভিযোগ, একটু পরে একজন বাঁশ, লাঠি নিয়ে সেখানে হাজির হয়। প্রথমে তারা সঞ্জয়কে বাঁশ দিয়ে কাঁধে মারে। এতে তিনি আহত হন। এরপর তাঁর নাকে দুষ্কৃতীরা সপাটে ঘুসি মারলে তিনি রক্তাক্ত হন। তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন অভিযোগকারীর মা, বোন সহ পরিবারের অন্যরা। তাঁদেরও মাটিতে ফেলে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে জানা গিয়েছে। সকলের শরীরে আঘাত রয়েছে। ব্যবসায়ীর সোনার চেন দুষ্কৃতীরা ছিনতাই করে নিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। সঞ্জীববাবুর দাবি, অভিযুক্তরা এলাকার ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে টাকা দাবি করছে। কেউ তোলা দিতে না চাইলে তাঁকে মারধর ও ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। ঘটনার পর থেকে তিনিও রীতিমতো আতঙ্কে ভুগছেন।