সংবাদদাতা শান্তিনিকেতন: বেঙ্গালুরুতে পাঠরত কীর্ণাহারের কড়েয়া গ্রামের ছাত্রী মাদক পাচার সহ অবৈধ কাজের সঙ্গে যুক্ত। পুলিস পরিচয় দিয়ে পরিবারকে ভয় দেখিয়ে এক লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল সাইবার প্রতারকদের বিরুদ্ধে। প্রতারণার শিকার হওয়া ওই ছাত্রীর পরিবার কীর্ণাহার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। পুলিস ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, কড়েয়া গ্রামের ওই ছাত্রী বেঙ্গালুরুতে এমবিএ নিয়ে পড়াশোনা করছেন। গত রবিবার ছাত্রীর মায়ের ফোনে বেঙ্গালুরু পুলিস পরিচয়ে এক ব্যক্তি তাঁকে ফোন করে। সেই ব্যক্তি জানায়, ছাত্রী ও তাঁর চার বন্ধু বেঙ্গালুরুর একটি হোটেল থেকে গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক পাচার ও অবৈধ কাজের অভিযোগ রয়েছে। সেই বিষয়ে বেশ কিছুক্ষণ ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে কথা বলে ফোনের অপরপ্রান্তে থাকা ব্যক্তি। তারপরে ছাত্রীকে ছাড়াতে হলে ৬০ হাজার টাকা চেয়ে বসে। ছাত্রীর বিভিন্ন নির্ভুল তথ্য দেওয়ায় তা বিশ্বাস করে নেন তাঁর মা। এমনকী ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলানোর জন্য বললে একজন মহিলার কান্নার কণ্ঠস্বর শোনানো হয়।
তারপরই ভয় পেয়ে ইউপিআই এর মাধ্যমে প্রথমে ৬০ হাজার টাকা পাঠিয়ে দেয় ছাত্রীর পরিবার। টাকা পাওয়ার কিছুক্ষণ পরই ফের প্রতারকরা ফোন করে বলে, ছাত্রীর নাম অনলাইনে রেজিস্ট্রার হয়ে গিয়েছে। সেই নাম কাটতে গেলে আরও ৪৫ হাজার টাকা লাগবে। সেই টাকাও পাঠিয়ে দেওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ হয় ছাত্রীর পরিবারের। তারপরই ওই ছাত্রীকে ফোন করে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, নিজের রুমেই সুরক্ষিত অবস্থায় রয়েছেন। তখনই ওই ছাত্রীর পরিবারের সদস্যরা বুঝতে পারেন, তাঁরা প্রতারিত হয়েছেন। তড়িঘড়ি তাঁরা কীর্ণাহার থানায় ও সাইবার ক্রাইমে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
ছাত্রীর মামা সন্ন্যাসী রায় বলেন, বেঙ্গালুরু পুলিস পরিচয় দিয়ে ফোন করায় আমার দিদি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন। এছাড়া ভাগ্নির বিষয়ে নির্ভুল তথ্য দেওয়ায় সবকিছু বিশ্বাস করে ফেলে। ভয় পেয়ে টাকা দেওয়ার পর ভাগ্নিকে ফোন করে আমরা বুঝতে পারি, প্রতারণার শিকার হয়েছি।