ট্যাবের টাকা না পেয়ে রাস্তা অবরোধ পড়ুয়াদের, আশ্বাস দিলেন ডিআই
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, ডোমকল: পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কে ঢুকেছে ট্যাবের টাকা। সেই টাকায় তাঁদের হাতে ঝকঝক করছে নতুন মোবাইল। কিন্তু সাগরপাড়ার কাজিপাড়া হরিদাস বিদ্যাভবনের পড়ুয়ারা এখনও পায়নি ট্যাবের টাকা। ট্যাব না কিনতে পারায় পড়াশোনার ‘ক্ষতি’ হচ্ছে, পিছিয়ে পড়ছে বলে দাবি পড়ুয়াদের। স্কুলে বলে কাজ হয়নি। তাই ‘ট্যাব চাই’ স্লোগান তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা। এতে কাজিপাড়া স্কুলের সামনে জলঙ্গি শেখপাড়া সড়ক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি দেখে ছুটে আসতে হয় প্রধান শিক্ষককে। প্রায় ঘণ্টা তিনেক পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক মারফত ডিআই-এর সঙ্গে কথা বলার পর অবরোধ তুলে নেয় পড়ুয়ারা।
স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, এ বছর ওই স্কুলে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণি মিলিয়ে ট্যাব প্রাপকের সংখ্যা ২৯৯। স্কুলের তরফে তাদের ট্যাবের টাকার জন্য সমস্ত পদ্ধতি মেনে দপ্তরে লিস্ট পাঠানো হয়েছে। কিন্তু আশেপাশের স্কুলগুলির পড়ুয়াদের ব্যাঙ্কে টাকা ঢুকলেও কোনও অজ্ঞাত কারণে ওই স্কুলের পড়ুয়ারা ট্যাবের টাকা পায়নি। অভিযোগ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আটবার ট্যাবের টাকা ঢোকার তারিখ ঘোষণা করলেও কোনওবারেই ঢোকেনি। এরপরই মঙ্গলবার সকালে স্কুল খুলতে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে পড়ুয়ারা। রীতিমতো রাস্তায় বাঁশ বেঁধে অবরোধ শুরু করে। অবরোধের জেরে রাস্তার ওপরে সারিসারিভাবে দাঁড়িয়ে যায় বাস। যানজটের সৃষ্টি হয়। স্কুলের পড়ুয়া মাসির হোসেন বলে, ৫ সেপ্টেম্বর আমাদের ট্যাবের টাকা ঢোকার কথা ছিল, ঢোকেনি। এরপর থেকে স্কুলের প্রধান শিক্ষক তারিখের ওপর তারিখ দিয়েছেন। কিন্তু টাকা না ঢোকায় আমরা বিক্ষোভ দেখিয়েছি।
অপর এক পড়ুয়া বলে, আশেপাশের স্কুলের ছেলেমেয়েরা ট্যাবের টাকা পেয়েছে। ওই টাকায় মোবাইল কিনে ওরা পড়াশোনা করতে পারছে। অথচ আমাদের ট্যাবের টাকা এখনও ঢোকেনি। ট্যাব কিনতে না পারায় আমরা পড়াশোনায় পিছিয়ে পড়ছি। আমরা চাই দ্রুত ওই টাকা দেওয়া হোক। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌস ওয়াহিদ সেলিম বলেন, আমরা ছাত্রছাত্রীদের নামের তালিকা পাঠিয়েছি। তবে কোনও কারণে ওই টাকা ঢোকেনি। আজ স্কুল খুলেছে। আমরা ছাত্রছাত্রীদের আর ক’দিন অপেক্ষা করতে বলেছিলাম। ওরা শোনেনি। শেষে ডিআই স্যার এক সপ্তাহের মধ্যে টাকা ঢোকার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেয় ছাত্রছাত্রীরা।