সংবাদদাতা, চোপড়া: অষ্টমঙ্গলা কালীপুজো ঘিরে জোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে চোপড়ায়। একদিকে রবিবার থেকে কালীপ্রতিমার নিরঞ্জন চলেছে। অন্যদিকে ভিন্ন চিত্র হাপতিয়াগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রেমচাঁদগছে। এই এলাকায় কালীপুজোর আট দিন পরে অষ্টমঙ্গলা পুজোর আয়োজন হয়। ব্যতিক্রম হলেও এটাই নিয়ম হয়ে উঠেছে।
প্রেমচাঁদগছে ৪০ বছর ধরে অষ্টমঙ্গলা কালীপুজো হয়ে আসছে। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কালীপুজো অনুষ্ঠিত হবে প্রেমচাঁদগছে। পুজো উপলক্ষ্যে তিন দিনব্যাপী মেলা চলবে। মেলা প্রাঙ্গণে পালাটিয়া গানের আসর বসবে। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকায় আগে দুর্গাপুজো বা কালীপুজোর বড় মেলা না থাকায় স্থানীয়দের একাংশ এই পুজো চালু করেন। তারপর থেকে প্রতিবছর এখানকার অষ্টমঙ্গলা কালীপুজো ঘিরে মেলা ও গানের আসর বসে।
স্থানীয় বাসিন্দা মেলা ও পুজো কমিটির সদস্য সুপেন সিংহ বলেন, পুজো ঘিরে মেলা বসানো হয়। গানের আসর বসে। আশপাশের কয়েকটি গ্রামের মানুষ এই পুজোয় শামিল হয়। অত্যন্ত নিয়মনিষ্ঠা সহকারে পুজো হয়। পুজো ও মেলা কমিটির অন্যতম সদস্য শ্রীবৎস সিংহ বলেন, এবার ৪০তম বর্ষ। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পুজো হবে। শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী মেলা ও পালা গানের আসর চলবে।
অন্যদিকে, কালুগছ তুলসী বিওপি এলাকায় কালীপুজো উপলক্ষ্যে মেলা ও যাত্রাপালার প্রস্তুতি চলছে। উদ্যোক্তাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, পুজো ঘিরে ৯ নভেম্বর তুলসী বিওপি ক্যাম্পের সামনে মেলা ও যাত্রাপালা আসরের আয়োজন করা হয়েছে। এটি সম্প্রীতির পুজো। সেখানেই দীর্ঘদিন ধরে এই পুজো আয়োজিত হচ্ছে। স্থায়ী মন্দিরে পুজো হয়। প্রতিবছর এখানকার কালীপুজোর মেলায় হিন্দু, মুসলমান, আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন। এমনকি মেলা কমিটিতে উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই রয়েছেন। পুজো ও মেলা কমিটির সম্পাদক নিমাইচন্দ্র দাস বলেন, এবছর মেলার ৭২তম বর্ষ। ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকায় এই মেলার আয়োজন করা হয়। স্থানীয় কমিটি সহ বিএসএফ-র পক্ষ থেকেও সহযোগিতা করা হয়।
কমিটির সদস্য আবদুল হান্নান জানিয়েছেন, কালীপুজো উপলক্ষ্যে গ্রামীণ যাত্রাপালার আয়োজন করা হয়েছে। সারা বছর বড় বড় উৎসব থাকলেও এই অঞ্চলের মানুষ এই মেলার অপেক্ষায় বুক বাঁধে। - নিজস্ব চিত্র