কাল মদনমোহন মন্দিরে জগদ্ধাত্রী পুজো বৈরাগীদিঘি থেকে তোলা হল রাসচক্রের খুঁটি
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: আগামীকাল, বৃহস্পতিবার মদনমোহন মন্দিরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। কাঠামিয়া মন্দিরে জগদ্ধাত্রী পুজো অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে, মঙ্গলবার মদনমোহন মন্দিরের উল্টো দিকে অবস্থিত বৈরাগীদিঘি থেকে রাসচক্রের খুঁটি তোলা হয়েছে। সেই খুঁটির উপরেই গড়ে তোলা হবে রাসচক্র। সব মিলিয়ে মদনমোহন মন্দিরে ব্যস্ততা তুঙ্গে।
মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার জগদ্ধাত্রী পুজোর বাজেট ২২ হাজার ৭৬২ টাকা। পুজোর তিনদিনই বলির প্রচলন রয়েছে। অষ্টমীর দিন মদনমোহন মন্দির থেকে হনুমান দণ্ড বড়দেবীর মন্দিরে যাবে। সেখানে বামা পুজো অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে দিয়ে বড়দেবীর পুজোর সমাপ্তি হয়। কোচবিহারের মহারাজাদের চালু করা এই পুজো ও প্রথা আজও নিষ্ঠার সঙ্গে পালিত হয়ে আসছে। মদনমোহন মন্দিরের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, মন্দিরে জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। গুঞ্জবাড়িতে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। এদিকে এদিন বৈরাগীদিঘি থেকে রাসচক্রের খুঁটি তোলা হয়েছে। এবার রাসচক্র গড়ে উঠবে।
মদনমোহন মন্দির সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ৭ নভেম্বর জগদ্ধাত্রী পুজোর সপ্তমী। ওই দিন গুঞ্জবাড়ি থেকে প্রতিমা আসবে। মাকে এখানে সোনার হার পরানো হয়। সপ্তমীতে পায়রা বলির প্রথা রয়েছে। মাকে ভোগ নিবেদন করা হবে। অষ্টমীতে পাঁঠা বলি হবে। নবমীতে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হবে। সেদিন একটি পাঁঠা, তিন জোড়া পায়রা বলি দেওয়া হবে। পুজো করবেন খগপতি মিশ্র। পুজো শেষে লম্বাদিঘিতে মায়ের বিসর্জন হবে।
এদিকে, এদিন দুপুরে বৈরাগীদিঘি থেকে রাসচক্রের খুঁটি তোলা হয়। ২০২২ সালে বনদপ্তরের থেকে এই নতুন খুঁটিটি মন্দিরে আনা হয়। আলিপুরদুয়ারের শালকুমার থেকে এই শালকাঠের ৩৪ ফুট উচ্চতার বিরাট এই খুঁটিটি নিয়ে আসা হয়েছিল। রাস উৎসব শেষ হওয়ার পর এই খুঁটিটি দড়ি বেঁধে বৈরাগীদিঘির জলে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। এক বছর জলে থাকার পর সেটিকে ভাইফোঁটার পর আবার জল থেকে তোলা হয়। এই খুঁটির উপরেই এবার রাসচক্রের মূল কাঠামোটিকে লাগানো হবে। সেটি তৈরি করছেন টাপুরহাটের অরুণকান্তি রায়। আর এবার রাসচক্রের গায়ে কাগজের কাজ করছেন আলতাফ মিয়াঁর ছেলে আমিনুর হোসেন। আলতাফ মিয়াঁ অসুস্থ থাকার কারণে তিনি এই কাজ করছেন।