যুবতীকে অপহরণ, গ্রেপ্তার বাবা-ছেলে, পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি, চাঞ্চল্য
বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
সংবাদদাতা, কালিয়াচক: যুবতীকে অপহরণ করে পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল কালিয়াচক থানার সুজাপুর পঞ্চায়েতের নাজিরপুর গ্রামে। যুবতীর পরিবার লিখিত অভিযোগ করার পর তদন্তে নেমে অভিযুক্ত বাবা ও ছেলেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিস। যদিও অপহরণের তত্ত্ব মানতে নারাজ অভিযুক্তদের পরিবার। তাদের দাবি, এটা প্রেম সংক্রান্ত বিষয়।
পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বাড়ি থেকে বাজার করতে গিয়েছিলেন নাজিরপুর এলাকার ওই যুবতী। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। সন্ধান না মেলায় তাঁরা কালিয়াচক থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেছিলেন।
যুবতীর বাবার অভিযোগ, সোমবার বিকেলে ফোন করে মেয়েকে ছাড়ার জন্য পাঁচ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়া হয়। তারপরেই পুলিসের দ্বারস্থ হয়েছি। যুবতীর এক আত্মীয়ের বক্তব্য, রবিবার দুপুরে যুবতীকে সুজাপুরের বাসিন্দা সাকিল আখতারের সঙ্গে রাস্তার ধারে কথা বলতে দেখেছিলেন স্থানীয় কয়েকজন। তারপর থেকেই নিখোঁজ হন যুবতী। স্থানীয়দের কাছ থেকেই সাকিলের সঙ্গে দেখা হওয়ার বিষয়টি জানতে পারেন যুবতীর বাবা। তিনি সাকিল ও তার বাবা জসিমউদ্দিনের নামে লিখিত অভিযোগ করেন। বিশেষ দল গঠন করে তদন্ত শুরু করে কালিয়াচক থানার পুলিস। রাতে অভিযান চালিয়ে ওই যুবকের বাবাকে গ্রেপ্তার করা হয় তাঁর বাড়ি থেকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এবং মোবাইলের সূত্র ধরে সুজাপুরের একটি জায়গা থেকে যুবতীকে উদ্ধার করে সাকিলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্তর দিদি তাজমিরা খাতুনের কথায়, ওই যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সাকিলের। বাড়িতে মিথ্যা কথা বলে সাকিলের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেছিল সে। সেজন্যই রবিবার বিকেলে বাড়ি থেকে হয় যুবতী। মুক্তিপণ চাওয়া হয়েছে বলে তাঁর বাবা যে দাবি করছেন, সেটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। কেস সাজানোর জন্য এসব গল্প ফাঁদছেন।
কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, দু’জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছিল। অভিযোগ পেয়েই তদন্ত শুরু করা হয়। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করার পাশাপাশি যুবতীকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ধৃতদের মঙ্গলবার মালদহ জেলা আদালতে পেশ করা হলে বিচারক সাতদিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।