সংবাদদাতা, নাগরাকাটা: দুর্ঘটনা এড়াতে মালবাজারে মাল নদীতে নালা কেটে তার দু’ধারে ছটপুজো করার ব্যবস্থা করল প্রশাসন। তবে মাল নদীর তিনটি ছটঘাটে এবারে এনডিআরএফ ও সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের রাখার ব্যবস্থা করেছে প্রশাসন। এছাড়াও ছটপুজো কমিটিগুলির পক্ষ থেকেও নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে দুর্গাপুজোর প্রতিমা বিসর্জন দেখতে গিয়ে হড়পাবানে আট জনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে কোনওরকম ঝুঁকি না নিয়ে ছটপুজোতেও দুর্ঘটনা এড়াতে মালবাজারে সবরকম ব্যবস্থা নিয়ে আসছে প্রশাসন। এবারে মালবাজারে পাঁচটি ঘাটে ছটপুজোর আয়োজন হয়েছে।
মাল পুরসভার ২নং ওয়ার্ডের ক্যাল্টেক্স মোড় মহাকালপাড়া সুলভ চেতন পঞ্চরতন সমিতির সম্পাদক প্রমোদ শা বলেন, আমাদের এই ছটঘাট হল জলপাইগুড়ির মধ্যে সব চাইতে বড়। এখানে কোনও দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য আমরা মূল নদীতে পুজো করছি না। এবারে মাল নদী থেকে একটি ছোট নালা বের করেছি। তার দু’ধারে আমরা ঘাট তৈরি করেছি। এই ঘাটেই আমরা ছটপুজো করব। প্রশাসন নানা ব্যবস্থা নিয়েছে। তারপরও আমরা ১৫০ জন ভলান্টিয়ার রেখেছি যাতে দর্শনার্থীরা মাল নদীতে না নামেন।
পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান উৎপল ভাদুড়ি বলেন, মালবাজারে পাঁচটি ছটঘাট আছে। এরমধ্যে তিনটিই মাল নদীতে। বাকি দু’টি পাগলাঝোরা নদীতে। দুর্ঘটনা এড়াতে মহকুমা প্রশাসন থেকে এনডিআরএফের টিম ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা থাকবেন।
প্রতি বছর মালবাজারে সব ক’টি ছটপুজোর উদ্বোধন করেন মাল বিধানসভার বিধায়ক তথা আদিবাসী অনগ্রসর শ্রেণিকল্যাণ দপ্তরের মন্ত্রী বুলুচিক বড়াইক। জানা গিয়েছে, এবারও মালবাজারে মন্ত্রীর হাত দিয়েই ছটপুজোর উদ্বোধন হবে।