• অপ্রাপ্তবয়স্ক গৃহবধূকে খুনের অভিযোগ, উত্তাল কালিয়াচক
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
  • সংবাদদাতা, কালিয়াচক: কিশোরী গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে। ময়নাতদন্তের পর দেহ নিয়ে ফিরতেই গ্রামে তীব্র উত্তেজনা। তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত শেষকৃত্য সম্পন্ন করতে নারাজ ছিল পরিবার। পরে পুলিসি পদক্ষেপে কিশোরীর শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। মঙ্গলবার কালিয়াচকের সুজাপুরের গয়েশবাড়ি গ্রাম এই ঘটনায় উত্তাল। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে এলাকায় বিক্ষোভ দেখান গ্রামবাসী।

    পুলিস ও পরিবার সূত্রে খবর, প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া সত্ত্বেও মাস তিনেক আগে  ওই কিশোরীর বিয়ে দেয় পরিবার। তাঁর বাবার বাড়ি জালালপুর থেকে প্রায় চার কিলোমিটার দূরে গয়েশবাড়িতে এক যুবকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়েছিল। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন বধূকে বিয়ের পর থেকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন করত।  শ্বশুরবাড়ির লোকজন মোটা অঙ্কের পণ দাবি করত। কিন্তু ওই গৃহবধূর পরিবার পণ দিতে অস্বীকার করেছিল। আর তাতে ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরীকে শারীরিক অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন। 

    মঙ্গলবার মৃত কিশোরীর খুড়তুতো দাদা বলেন, সোমবার দুপুরে বোনের শ্বশুরবাড়ির এক আত্মীয় ফোন মারফত মৃত্যুর খবর জানায়। খবর পাওয়ার পরই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। দেখি, ওরা বোনকে মেঝেতে শুইয়ে রেখেছে। মুখে এবং হাতে কালসিটে ছিল। গলাতেও ছিল কালসিটে ও আঁচড়ের দাগ। এর থেকেই স্পষ্ট, আমার বোনকে খুন করা হয়েছে। বিয়ের পর থেকেই বোনকে ওর স্বামী নানাভাবে হেনস্তা করত। এর আগেও বিষয়টি এলাকার মাতব্বরদের জানানো হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কোনও সুরাহা করতে পারেননি। সালিশি করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটিও ব্যর্থ হয়েছে। 

    মৃতার এক আত্মীয়ের দাবি, আমরা প্রথমে ওই যুবকের সঙ্গে বাড়ির মেয়ের বিয়ে দিতে চাইনি। অনেক জোরাজুরির পর আমরা রাজি হয়েছিলাম। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সংসারে নিত্য অশান্তি চলছিল। সোমবার শ্বশুরবাড়ির লোকজন অপ্রাপ্তবয়স্ক মেয়েটাকে খুন করে ফেলল। আমরা দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য বিক্ষোভ দেখিয়েছি। স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে কালিয়াচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি।

    এব্যাপারে কালিয়াচক থানার আইসি সুমন রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, ঘটনার পর থেকে মৃতার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পলাতক। আমরা মৃতার বাবার বাড়ির তরফে অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছি। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে। - নিজস্ব চিত্র।
  • Link to this news (বর্তমান)