নিজস্ব প্রতিনিধি, রায়গঞ্জ: উষ্ণায়নের জন্য বৃক্ষরোপণে জোর দেওয়া হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। সেখানে সরকারি অনুমতি ছাড়াই বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের লাগানো শতাধিক গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠল রায়গঞ্জ ব্লকের গুঠিন মৌজা এলাকায়। এই ঘটনায় উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক ও ডিএফও’র দ্বারস্থ হলেন এক বাসিন্দা।
স্থানীয় বাসিন্দা মুজিবুর রহমানের অভিযোগ, গুঠিন মৌজায় এক একর ৫০ শতক জমিতে কবরস্থান হয়েছে। সেখানে বনসৃজন প্রকল্পে ২০১৮ সালে প্রচুর আকাশমণি ও শিশু গাছ লাগানো হয়েছিল। সম্প্রতি নজরে আসে ওই এলাকায় যথেচ্ছভাবে ধ্বংস করা হয়েছে সবুজায়ন। কোনও সরকারি অনুমতি ছাড়াই অন্তত শতাধিক গাছ কাটা হয়েছে সেখানে। বিষয়টি নজরে আসতেই প্রতিবাদ জানিয়েছি। ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসন, বন দপ্তরকে অভিযোগ জানিয়েছি। মুজিবুরের দাবি, ওই গাছ কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট দপ্তর তদন্ত করে সবুজায়ন বিরোধীদের খুঁজে কঠোর শাস্তি দিক। বিশ্ব উষ্ণায়নের দাপটে পরিবর্তন হচ্ছে ঋতুচক্র। খামখেয়ালি হচ্ছে আবহাওয়া। বৃক্ষরোপণ করে ঘোরালো পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। জেলায় জেলায় বন দপ্তর প্রত্যেক বছর লক্ষাধিক বৃক্ষ রোপণ করছে। এমন একটা পরিস্থিতিতে বাঙালবাড়িতে বনসৃজনের মাধ্যমে লাগানো গাছ আশ্চর্যজনকভাবে কেটে ফেলা নিয়ে উদ্বিগ্ন ওয়াকিবহাল মহলও।
যদিও এ ব্যাপারে ইতিমধ্যে নড়েচড়ে বসেছেন বনদপ্তরের রায়গঞ্জ ডিভিশনের ডিএফও ভূপেন বিশ্বকর্মা। তিনি বলেন, আমরা পঞ্চায়েত, স্থানীয় মানুষদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছি। কারণ সংশ্লিষ্ট সকলের এব্যাপারে ভূমিকা থাকে। তাই সকলের সঙ্গে কথা বলেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বাঙালবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লায়লা আরজুমান বানু বলেন, যে জায়গায় গাছ কাটা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ২০১৮ সালে আমাদের পঞ্চায়েত থেকেই বনসৃজন করা হয়। বিষয়টি বনদপ্তর ও প্রশাসন সরকারিভাবে দেখছে। একটি বৈঠকে সবপক্ষকে ডাকা হয়েছে।