• প্লাটিনাম জুবিলি চন্দননগরের দুই পুজোর, থিমে চমক বাগবাজার চৌমাথা ও বেশোহাটায়
    বর্তমান | ০৬ নভেম্বর ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, চুঁচুড়া: প্লাটিনাম জুবিলি বর্ষে প্রতিমার সাজ থেকে মণ্ডপসজ্জা, চমক দিতে কোমর বেঁধেছে চন্দননগরের দুই পুজো। চোখ ধাঁধানো আলোর বাহার আর বিসর্জনের শোভাযাত্রার আড়ম্বর তো থাকছেই। চন্দননগরের বেশোহাটা ও বাগবাজার চৌমাথা ৭৪ বছর ধরে জগদ্ধাত্রী পুজো করছে। দুই পুজোই বহুবার একাধিক পুরস্কার পেয়েছে। এবার থিমের পুজো করছে তারা। দু’জায়গাতেই দেবীর সনাতনী ভঙ্গিমা। কিন্তু মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমার সাজসজ্জা হচ্ছে থিমের। মিউজিক দিয়েও মাত করতে উদ্যোগ নিয়েছে বাগবাজার চৌমাথা। 

    ইংরেজ শাসিত কলকাতার কায়দায় ফরাসি চন্দননগরে একদা গড়ে উঠেছিল বাগবাজার। সেখানে শহরের অন্যতম বিগ বাজেটের জগদ্ধাত্রী পুজো হয় চৌমাথায়। ১৫ ফুটের প্রতিমা যেমন দর্শনীয় তেমনই মনোহর তাদের থিম ভাবনা। এবার বাগবাজার চৌমাথার থিম, ‘জোতির্বিদ্যা ও জ্যোতিষ’। এই দুই ভিন্নধর্মী কিন্তু পরস্পরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত বিষয়কে নানা কায়দায় মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে। তবে এই মুহূর্তে থিমসজ্জার রকমসকম গোপনই রাখতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। দেবীর সাজেও থিম। ২০২১ সাল থেকে এই সাজের থিম বিষয়টির বাড়বাড়ন্ত হয়েছে। এ নিয়ে পুরস্কারও চালু হয়েছে। বাগবাজারের এবারের সাজের থিম ‘রাশিচক্র’। বারোটি রাশিকে ঘিরে দেবীর শোলার সাজ। বনকাপাশির সেই সাজও এবারের পুজোর বাড়তি আকর্ষণ। এর সঙ্গে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই আলোর রোশনাই। সেই অধ্যায়েও প্রতিযোগিতায় রয়েছে বাগবাজার চৌমাথা। তবে শুধু আলো নয় সঙ্গে জুড়ে থাকছে শব্দ। ক্লাবকর্তা সুব্রত পাল বলেন, ‘আলো ও শব্দ নিয়ে এবার আমরা একটি নতুন পরীক্ষা করতে চাইছি। দর্শকরা মণ্ডপে এলে তা বুঝতে পারবেন। স্টেশনের রাস্তাজুড়েও আলোর বাহার থাকবে।’

    চন্দননগরের প্রাচীনতম পুজোগুলির কালনির্ণয় নিয়ে জটিলতা আছে। কিন্তু পরবর্তী সময় জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়ে ফেলা পুজো উদ্যোক্তারা কালপঞ্জী ধরে রেখেছেন যত্নে। সেই নিরিখে চন্দননগরের বেশোহাটা সর্বজনীন এবার প্লাটিনাম জুবিলি পালন করছে। আলোকসজ্জা থেকে প্রতিমার সাজ, মণ্ডপ থেকে আয়োজনে অন্যদের টেক্কা দিতে প্রয়াস চলছে। বেশোহাটায় এবার মণ্ডপের থিম, ‘বন্দে ব্রতকথামঃ’। দেশের স্বাধীনতায় চন্দননগরের একটি ভূমিকা আছে। বিপ্লবী থেকে তাঁদের আরাধ্য, এসবকে কেন্দ্র করেই মণ্ডপসজ্জা করা হচ্ছে। থাকছে মডেল। দেবীর সাজের থিম, ‘সনাতনী’। পুজোতে ব্যবহার হয় এমন নানা উপকরণ যেমন, ঘট থেকে ডাবে সাজানো হয়েছে সে সাজ। থাকছেন দেবাদিদেব মহাদেব। পুজো উদ্যোক্তা সুদীপ দাস বলেন, ‘আমাদের প্রতিমা সনাতনী। কিন্তু মণ্ডপসজ্জা থেকে দেবীর সাজে থাকবে চমক। সেই অনুসারেই গড়া হয়েছে চন্দননগরের ভুবনখ্যাত আলোকসজ্জা।’ 
  • Link to this news (বর্তমান)