নিজস্ব প্রতিনিধি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কালীপুজোর বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেরিয়েছিল এলাকায়। অভিযোগ, তখনই আতসবাজির আড়ালে রাস্তায় দেশি বোমা ফাটানো হয়। যার জেরে কেঁপে উঠল একটি বাড়ি। ভাঙল একাধিক জানলার কাঁচ। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে রাজপুর সোনারপুর পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের গড়িয়া নবগ্রাম ঝিল পাড় রোডে। বিষয়টি নিয়ে নরেন্দ্রপুর থানায় সংশ্লিষ্ট পরিবারের লোকেরা অভিযোগ জানালেও, কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে তাঁদের দাবি। পুলিস জানিয়েছে, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যা থেকেই একাধিক পুজো উদ্যোক্তারা শোভাযাত্রা করে কালী প্রতিমা বিসর্জন করছিলেন গড়িয়া স্টেশন সংলগ্ন ঝিলে। হরেকরকম বাদ্যির সঙ্গে ফাটছিল চকোলেট বোমা, আতসবাজি। অভিযোগ এরই মাঝে রাত প্রায় এগারোটা নাগাদ নবগ্রাম কেঁপে ওঠে বিকট শব্দে। পরপর দুটি ‘পেটো’ ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সির্দ্ধার্থ অধিকারী নামে এক বাসিন্দার বাড়ি জানলার কাচ ভেঙে যায়।
তিনি ও তাঁর পরিবারের লোকেরা বাড়ির বাইরে বেরিয়ে দেখেন সামনের দরজা ও জানলার কাচ ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গিয়েছে। বাড়ির সামনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে বোমার সুতুলি।
বাড়ির সদস্য মৌসুমী অধিকারী বলেন, আমাদের বারান্দায় গ্যাস সিলিন্ডার রাখা ছিল। যদি বোমার আগুন তাতে পড়ত, তাহলে বিস্ফোরণ ঘটতো এবং গোটা পরিবার শেষ হয়ে যেত। ১৭ বছর ধরে এই এলাকায় আছি। কোনওদিন বিসর্জনে এমন বোমা ফাটতে দেখিনি। আরেক বাসিন্দা রূপালি মণ্ডল বলেন, এই ঘটনায় আমরা আতঙ্কে আছি। এমন বসতি এলাকায় কেউ বোমা ফাটায় ? পুলিসের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন আক্রান্ত বাড়ির মহিলারা। তাঁরা বলেন, প্রথমে টহলরত পুলিসকে বিষয়টি জানানো হলে তারা নিজেদের মধ্যে মিটমাট করে নিতে পরামর্শ দেয়। পরে থানায় অভিযোগ করায় পুলিস এসে তদন্ত শুরু করে। এই ঘটনায় অবশ্য কেউ ধরা পড়েনি। এদিকে, এই প্রসঙ্গে ওয়ার্ডের কাউন্সিলার বাণী নাগ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, যে বা যাঁরা এমন কাজ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে পুলিস কড়া পদক্ষেপ করুক। এলাকায় মানুষের শান্তি বিঘ্নিত করা যাবে না।