তন্ময়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রকাশ্যে আসে গত ২৭ অক্টোবর। ফেসবুকে এক মহিলা সাংবাদিক অভিযোগ করেন, সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময়ে তন্ময় তাঁর ‘কোলে উঠে পড়েন’। অভিযোগের পর ওই দিন বিকেলেই সিপিএমের তরফে মহম্মদ সেলিম জানিয়ে দেন, দল তাঁকে সাসপেন্ড করছে। তাঁর বিরুদ্ধে দলের অভ্যন্তরীণ কমিটি তদন্ত করবে। যত দিন সেই তদন্ত চলবে, তত দিন তন্ময় সাসপেন্ড থাকবেন। তদন্ত শেষ হলে সেই রিপোর্ট দেখে দল পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে। সেই মতোই তন্ময়ের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে আইসিসি-তে। অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার ১০ দিনের মাথায় তন্ময়কে ডেকে পাঠাল আলিমুদ্দিন। শনিবার বেলা সাড়ে ১২টা নাগাদ তাঁকে আলিমুদ্দিনে ডাকা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তন্ময়।
এর আগে বরাহনগর থানায় তন্ময়কে দু’বার তলব করা হয়েছিল। প্রথম দিন তিন ঘণ্টা এবং পরের দিন প্রায় দেড় ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। অভিযোগকারী মহিলা সাংবাদিকের বয়ানও রেকর্ড করেছে পুলিশ। বুধবার বিকেল ৩টে নাগাদ আবার থানায় হাজিরা দিতে যান তন্ময়। বাইকে করে থানায় পৌঁছন, তবে মাথায় হেলমেট ছিল না তাঁর। তলব এবং তদন্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘‘পুলিশি তদন্ত এবং পার্টির তদন্ত, কোনও কিছুরই মুখোমুখি হতে আমার কোনও আপত্তি নেই। বুধবার থানাতেও যাব। শনিবার আলিমুদ্দিনেও যাব।’’
গত রাজ্য সম্মেলনের পরেই দলে মহিলাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য আইসিসি তৈরি করেছিল সিপিএম। সর্বভারতীয় স্তরেও এমন কমিটি রয়েছে সিপিএমে। বাংলায় সিপিএমের এই কমিটির মাথায় রয়েছেন বর্ধমানের মহিলা নেত্রী অঞ্জু কর। তাঁর নেতৃত্বেই তন্ময়ের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হবে।
ঘটনার পর ১০ দিন পেরিয়ে গেলেও কেন সিপিএমের আইসিসি তন্ময়কে তলব করছে না, তা নিয়ে দলের অন্দরে নানা আলোচনা হচ্ছিল। তবে সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছিল, কালীপুজো, ভাইফোঁটা ইত্যাদি অনুষ্ঠানের কারণে তদন্ত শুরু হয়নি। পাশাপাশি, গত রবিবার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত দিল্লিতে সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক চলেছে। আইসিসি-র সদস্যেরা অধিকাংশই ওই বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছিলেন। ফলে এর মধ্যে ডাকা যায়নি তন্ময়কে। দিল্লি থেকে দলীয় নেতৃত্ব ফেরার পরেই শনিবার তন্ময়কে ডেকে পাঠানো হল।