চার বছর আগে ভাটপাড়া পুরসভার একটি মামলায় অর্জুনকে তলব করেছে সিআইডি। আগামী ১২ নভেম্বর বেলা ১১টায় তাঁকে ভবানী ভবনে হাজির হতে বলা হয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ২০২০ সালে ভাটপাড়া পুরসভায় প্রায় চার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগে নাম জড়িয়েছে বিজেপির প্রাক্তন সাংসদের। তবে বুধবার হাই কোর্টে অর্জুনের আইনজীবী দাবি করেন, তাঁর মক্কেলকে নির্দিষ্ট কোনও কারণ ছাড়াই নোটিস পাঠানো হয়েছে। নেপথ্যে রাজনৈতিক কারণ আছে বলে দাবি করা হয়েছে। এ-ও বলা হয়েছে, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হয়রানি করতেই ওই পদক্ষেপ করছে রাজ্য পুলিশ। এখন অর্জুনের আবেদন, সিআইডির ওই নোটিস খারিজ করা হোক এবং তাঁকে রক্ষাকবচ দিক হাই কোর্ট। আগামী সোমবার সংশ্লিষ্ট মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
বস্তুত, এক সময় ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান থাকার পাশাপাশি ভাটপাড়া নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কেরও চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন। কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে প্রচুর টাকার দুর্নীতি হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওই মামলাতেই আগামী ১২ নভেম্বর, অর্থাৎ উপনির্বাচনের আগের দিন অর্জুনকে ভবানী ভবনে তলব করেছে সিআইডি। অর্জুন দাবি করেন, তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। তিনি বলেছিলেন, “ভোটের আগের দিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে আমাকে ডাকা হয়েছে।’’ তৃণমূল ছেড়ে আবার বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রাক্তন সাংসদ আরও বলেন, ‘‘তৃণমূলে থাকলেই ‘গুড বয়’ (ভাল ছেলে), আর বিজেপি করলে ওদের চোখে ‘ব্যাড বয়’ (খারাপ ছেলে)।” যদিও শাসকদলের স্থানীয় নেতৃত্ব দাবি করেন নৈহাটির উপনির্বাচনের সঙ্গে এই মামলার কোনও সম্পর্ক নেই। তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম জানান, ২০২০ সালে ভাটপাড়া-নৈহাটি কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ নিয়ে তিনিই সরব হন। তিনি বলেন, ‘‘জালি ওয়ার্ক অর্ডার নিয়ে কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক থেকে লোন নেওয়া হয়েছিল। ওই লোন প্রাক্তন সাংসদের অনুগামীদের নামে হয়েছিল। ওই মামলায় তাঁর (অর্জুনের) ভাইপো পাপ্পু সিংহ ২০২১ সালে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। ছ’মাস জেলও খাটেন। এ বার ওঁকেও জেল খাটতে হবে।”