তার পরেই ওই যুবক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মেয়ের নাম করে হুমকি দেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে পদক্ষেপ করে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। তদন্তে নেমে দুই মহিলাকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। ধৃতদের পরিবারের অভিযোগ, হেফাজতে নিয়ে তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছে পুলিশ। আইনের বাইরে গিয়ে কাজ করেছেন পুলিশকর্মীরা। মামলা হয় হাই কোর্টে। যার প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ। নির্দেশে তিনি বলেছিলেন, অত্যাচারের ঘটনায় পুলিশের মধ্যে কারা যুক্ত ছিলেন এবং তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করবে সিবিআই। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয় রাজ্য।
বুধবার রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত সওয়াল করেন, সাংসদের মেয়েকে নিয়ে কটু মন্তব্য করার জন্য গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। পকসো ধারা দেওয়া হয়েছে। ওই দুই মহিলার উপর পুলিশি অত্যাচার করেনি। তা ছাড়া, সিঙ্গল বেঞ্চ মামলাটি প্রথম দিন শুনেই কী ভাবে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিল? পাল্টা প্রধান বিচারপতি মন্তব্য করেন, ‘‘আরজি কর মামলাতেও প্রথম দিনই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এখানে অভিযোগ রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। রাজ্যের দায়িত্ব, আদৌও আইন মেনে কাজ হয়েছে কি না, সেটা দেখা। পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজ্য সমর্থন করতে পারে না।’’ প্রধান বিচারপতি এ-ও বলেন, ‘‘রাজ্য বলছে, পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সঠিক নয়। পুলিশের উপর রাজ্যের এত আত্মবিশ্বাস থাকলে সিবিআই-ই তদন্ত করুক। ওই দুই মহিলার গ্রেফতারি নিয়েও তো প্রশ্ন থাকছে।’’ তার পরেই রাজ্যের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে উচ্চ আদালত।