পুলিশ জানিয়েছে, বছর ত্রিশের ওই তরুণীর বাড়ি কলকাতা পুলিশের একটি থানা এলাকায়। গত শুক্রবার কালীপুজো দেখবেন বলে তিনি তরুণের সঙ্গে দেখা করেন। বিকেলে তরুণের বাড়ির কাছাকাছি দেখা করে বাইকে করে তাঁর বাড়ির এলাকায় যান তাঁরা। সঙ্গে অন্য বাইকে আরও কয়েক জন তরুণ-তরুণী ছিল বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। অভিযোগ, কিছু ক্ষণ ঘোরাঘুরির পরে তরুণীকে বুঝিয়ে একটি বাড়িতে নিয়ে যায় ওই তরুণ। আরও কয়েক জনও তাঁদের সঙ্গে যায়।
তরুণীর অভিযোগ, ওই বাড়িতে পানীয়ের সঙ্গে কিছু খাইয়ে তাঁকে বেহুঁশ করে দেওয়া হয়। এর পরেই চার জন মিলে তাঁকে ধর্ষণ করে। জ্ঞান ফিরলে কোনও রকমে বাড়ি ফেরেন তরুণী। পরে বাড়ির লোকজন তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দু’দিন চিকিৎসাধীন ছিলেন তরুণী।
হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে গত রবিবার সংশ্লিষ্ট থানায় চার জনের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। তদন্তে নেমে সোমবার দুই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃত দু’জনই সে দিনের ঘটনায় জড়িত ছিল বলে দাবি পুলিশের। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় আরও কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। মঙ্গলবার ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক চিকিৎসক-পড়ুয়াকে খুন ও ধর্ষণের ঘটনার পরে রাজ্য জুড়ে ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে আওয়াজ উঠেছে। ধর্ষণের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও ওঠে। রাস্তায় নামেন বহু মানুষ। তবে তাতেও যে ধর্ষণ বা নারী নির্যাতনে রাশ টানা যায়নি, তার প্রমাণ মিলছে পর পর ঘটনায়। গত কয়েক মাসে রাজ্য জুড়ে বহু ধর্ষণ-নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। শুধুমাত্র দক্ষিণ ২৪ পরগনাতেই একাধিক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই জেলার গ্রামীণ এলাকায় দিন কয়েক আগেই বছর নয়েকের এক বালিকাকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে। কিছু দিনের মধ্যে মূক ও বধির এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ বার কার্যত শহরের মধ্যেই গণধর্ষণের ঘটনা ঘটল। পুলিশ জানিয়েছে, নারী নিরাপত্তার দিকে বাড়তি নজর দেওয়া হচ্ছে। মহিলা পুলিশের দলও বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।