পরিবারটির এক সদস্যা রূপালি অধিকারী বলেন, “এই পথে অনেক বিসর্জনের শোভাযাত্রা যায়। তারাও বাজি ফাটায়। কিন্তু আগে কখনও এমন হয়নি। ওই দিন বাজির তীব্রতা অনেক বেশি ছিল। এত জোরে আওয়াজ আগে শুনিনি। হতে পারে, বোমা জাতীয় কিছুই ফাটানো হয়েছে।”
এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যেরা। তাঁদের অভিযোগ, পুলিশ প্রথমে অভিযোগ না নিয়ে নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নেওয়ার কথা বলে। পরে তারা তদন্তে এসে বলে, কোন ক্লাবের বিসর্জন ছিল, সেই খোঁজ নিতে হবে বাড়ির লোকেদেরই। রূপালি বলেন, “বাড়িতে পোষ্য আছে। বিসর্জনের সময়ে শব্দ-ধোঁয়ার জেরে দরজা-জানলা বন্ধ করে রাখি। কোন ক্লাবের পুজোর বিসর্জন হচ্ছে, সেটা আমাদের পক্ষে তো জানা সম্ভব নয়। অথচ পুলিশ এসে বলছে, কোন ক্লাব করেছে, খোঁজ নিয়ে জানাতে।”
এই ঘটনায় শব্দবাজির দৌরাত্ম্য নিয়ে ফের প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ বার বার শব্দবাজি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপের কথা বললেও তা যে বাস্তবায়িত হয়নি, সেটা বোঝা গিয়েছে কালীপুজো-সহ পরের কয়েক দিনে। পুলিশ জানায়, এ ক্ষেত্রে ঠিক কী হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে। তদন্তকারীদের অনুমান, শক্তিশালী কোনও শব্দবাজি ফাটানো হয়েছিল।